Supreme Court: ১৮ মাসের বিয়েতে BMW, ১২ কোটি খোরপোশ দাবি, সুপ্রিম কোর্ট বলল, ‘শিক্ষিত হয়ে ভিক্ষা চাইবেন না’
Supreme Court: শীর্ষ আদালতের তরফে সেই এগ্রিমেন্ট উল্লেখ করেই বলা হয়, ১২ কোটি টাকা খোরপোশ দাবি করেছেন, তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই। কোনও প্রতারণাও করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।

নয়া দিল্লি: বিয়ে টিকেছিল ১৮ মাস। আট বছর ধরে চলছে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা! অবশেষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিপুল অ্যালুমনি বা খোরপোশ দাবি করায় স্ত্রীকে তীব্র ভৎর্সনা করল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের বেঞ্চের তরফে ওই মহিলাকে বলা হল, “যদি শিক্ষিত হন, তবে ভিক্ষা চাইবেন না। নিজের জন্য আয় করুন।”
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এক দম্পত্তির বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় রায় দেওয়া হয়। ওই দম্পত্তির বিবাহ বিচ্ছেদ মঞ্জুর করা হয় এবং খোরপোশ বাবদ ওই মহিলাকে মুম্বইয়ে একটি ফ্ল্যাট দেওয়া হয়। যদিও ওই মহিলা দাবি করেছিলেন, খোরপোশ বাবদ ১২ কোটি টাকা, মুম্বইয়ে একটি ফ্ল্যাট, বিএমডব্লু গাড়ি সহ একাধিক সম্পত্তি দাবি করেছিলেন। শীর্ষ আদালতের তরফে ওই মহিলার দাবিকে অনৈতিক বলে উল্লেখ করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন ও বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চের তরফে বিবাহ বিচ্ছেদ মঞ্জুর করে বলা হয়, এই বিয়ে আগেই ভেঙে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ওই মহিলা মিউচুয়াল সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেছিলেন, যেখানে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের সেটেলমেন্ট হিসাবে মুম্বইয়ে দুটি পার্কিং লট যুক্ত একটি ফ্ল্যাট পাবেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি চিরস্থায়ী কোনও খোরপোশের উল্লেখ করেননি। পরে ওই মহিলা বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে, ওই এগ্রিমেন্ট মানতে অস্বীকার করে। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই তাঁর স্বামী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
শীর্ষ আদালতের তরফে সেই এগ্রিমেন্ট উল্লেখ করেই বলা হয়, ১২ কোটি টাকা খোরপোশ দাবি করেছেন, তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই। কোনও প্রতারণাও করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ওই মহিলা উচ্চশিক্ষিত। আইটি সেক্টরে কাজ করেন। মাত্র ১৮ মাসের বিয়েতে তিনি বিচ্ছেদ চান এবং ১২ কোটির খোরপোশ দাবি করেন। গত জুলাই মাসে শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই ওই মহিলার দাবির নিন্দা করে বলেছিলেন, “আপনি এত শিক্ষিত। আপনার নিজের আয় করা উচিত, খোরপোশ না চেয়ে।”
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “আপনাদের বিয়ে মাত্র ১৮ মাস টিকেছিল। এখন আপনি বিএমডব্লু-ও চাইছেন? প্রতি মাসে ১ কোটি টাকা চাইছেন? ”
শীর্ষ আদালতের তরফে একদিকে যেমন ওই মহিলার ডিগ্রি উল্লেখ করে বলা হয় যে তিনি নিজের খরচ জোগাতে সক্ষম, তেমনই স্বামীর আর্থিক অবস্থার অবনতি হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। ওই মহিলার স্বামী আগে সিটি ব্যাঙ্কে কাজ করতেন, বার্ষিক আয় ছিল ২.৫ কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমানে তিনি বেকার। তাঁর বার্ষিক আয় ১৮ লক্ষ টাকায় কমে দাঁড়িয়েছে।

