ওটি-তে মন ছিল না, রোগীর পেটে তোয়ালে রেখেই সেলাই করে দিলেন বেখেয়ালী ডাক্তার! ২ মাস পরই মর্মান্তিক পরিণতি মহিলার

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Aug 04, 2024 | 7:50 AM

Medical Negligence: বাড়ি ফেরার পর ফের পেটে যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রোগী। তবে চিকিৎসা তো দূর, বরং চিকিৎসককে বারবার উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ করা হয় রোগী পরিবারের বিরুদ্ধে। এরপর বাধ্য হয়ে অন্য একটি হাসপাতালে যান রোগী।

ওটি-তে মন ছিল না, রোগীর পেটে তোয়ালে রেখেই সেলাই করে দিলেন বেখেয়ালী ডাক্তার! ২ মাস পরই মর্মান্তিক পরিণতি মহিলার
প্রতীকী চিত্র
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

লখনউ: চরম অবহেলা, অস্ত্রোপচারের সময়ও চিকিৎসকের মন অন্যদিকে। আর আনমনে চিকিৎসকের ভুলেই চরম মাশুল দিতে হল রোগীকে। চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু হল এক মহিলার। জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসক ভুলবশত রোগীর পেটের ভিতরেই তোয়ালে রেখে দেন। সেই অবস্থাতেই সেলাইও করে দেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় অন্য এক চিকিৎসকের কাছে যান রোগী। আর তখনই রহস্য উদঘাটন হয়। দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করে রোগীর পেট থেকে তোয়ালে বের করার পরই মৃত্যু হয় তাঁর।

জানা গিয়েছে, ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে এক বছর আগে, উত্তর প্রদেশের কানপুরে। উরসালা জেলা হাসপাতালে পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বুশরা খান। চিকিৎসক পরীক্ষা করে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। গত বছরের ৮ জুন অস্ত্রোপচার করেন ডঃ পিকে মিশ্র। ১৬ জুন ওই মহিলাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাড়ি ফেরার পর ফের পেটে যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রোগী। তবে চিকিৎসা তো দূর, বরং চিকিৎসককে বারবার উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ করা হয় রোগী পরিবারের বিরুদ্ধে। এরপর বাধ্য হয়ে অন্য একটি হাসপাতালে যান রোগী। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন, ওই মহিলার পেটে কিছু রয়েছে। স্ক্যান করে দেখা যায়, অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহৃত তোয়ালে রয়েছে পেটের ভিতরে। এরপর ১২ অগস্ট ফের অস্ত্রোপচার করা হয় এবং মহিলার পেট থেকে সেই তোয়ালে বের করা হয়। এর ২ দিন পরই, ওই মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং মৃত্যু হয়।

এরপর রোগীর পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ করতো গেলেও কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। শেষে  আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। প্রায় এক বছর পর এই মামলায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলেই জানিয়েছে।

Next Article