ভারতে এসে তাইল্যান্ডের মহিলার করোনায় মৃত্যু ঘিরে রহস্য, নাম জড়াল বিজেপি নেতার ছেলেরও

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

May 10, 2021 | 1:42 PM

গত ২৮ এপ্রিল উত্তর প্রদেশে আসেন ওই তাইল্যান্ডের বাসিন্দা। সেখথান থেকে তিনি বিশেষ কোনও কারণে লখনউ যান। সেখানেই করোনার উপসর্গ দেখা দিতেই তাঁকে রাম মোহন লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৩ মে মৃত্যু হয় তাঁর।

ভারতে এসে তাইল্যান্ডের মহিলার করোনায় মৃত্যু ঘিরে রহস্য, নাম জড়াল বিজেপি নেতার ছেলেরও
প্রতীকী চিত্র। ছবি:PTI

Follow Us

লখনউ: পর্যটক ভিসায় ভারতে এসেই মৃত্য়ু হল এক তাইল্যান্ডের নাগরিকের। আর সেই মৃত্যু ঘিরেই উত্তাল গোটা লখনউ। একদিকে যেমন, ওই মহিলার ভারতে আসার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে ওই মহিলার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এক বিজেপি নেতার ছেলের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,গত ২৮ এপ্রিল উত্তর প্রদেশে আসেন ওই তাইল্যান্ডের বাসিন্দা। সেখথান থেকে তিনি বিশেষ কোনও কারণে লখনউ যান। সেখানেই করোনার উপসর্গ দেখা দিতেই তাঁকে রাম মোহন লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৩ মে মৃত্যু হয় তাঁর।

এই মহিলার মৃত্যুর পরই নয়া দিল্লির দূতাবাসের মাধ্যমে ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। লখনউ জেলা প্রশাসনকে একটি চিঠির মাধ্যমে দূতাবাসের তরফে দেহ সৎকার করে অস্থি তাইল্যান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুর সার্টিফিকেটও যেন সঠিকভাবে তৈরি করে হাসপাতালের তরফে পাঠানো হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই মহিলার ট্যুর গাইড ও লখনউ পুলিশের উপস্থিতিতে মহিলার দেহ সৎকার করা হয় ও তার পরিবারকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে গোটা কর্মকাণ্ড দেখানো হয়।

এদিকে, ওই মহিলার ফোন থেকে সালমান খান নামক যে ট্যুর গাইডের নম্বর পাওয়া যায়, তা ডে কেয়ার স্পা নামে রেজিষ্টার করা। তবে ওই গাইড কোনও স্পায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। তিনি জানান, রাকেশ শর্মা নামে এক ব্যক্তি, যিনি দূতাবাসের সঙ্গে জড়িত, তাঁকে তাইল্যান্ড দূতাবাসের তরফে ফোন করা হয়। এরপরই তাঁর কথায় সালমান ওই মহিলার দেখভাল করছিলেন।

অন্যদিকে, স্পা সেন্টারের নাম উঠতেই সমাজবাদী পার্টির নেতা আইপি সিং সহ একাধিক নেতা ওই মহিলার সঙ্গে বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় শেঠের নাম জড়িয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ ওই মহিলাকে দেহ ব্যবসা করাতেই ভারতে এনেছিলেন সাংসদ-পুত্র। গোটা ঘটনার তারা সিবিআই তদন্তও চান।

তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজে সাংসদ সঞ্জয় শেঠ। তিনি এই বিষয়ে লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার ডিকে ঠাকুরকে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন, কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর ছেলের নামন জড়ানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ নিতে পারবেন কোভ্যাক্সিন? আসল সত্যি জানাল কেন্দ্র

Next Article