মুম্বই: নিজেই পাত্র পছন্দ করে বিয়ে দিয়েছিলেন। মেয়ে যাতে সুখে সংসার করে, তার জন্য যাবতীয় দাবিও পূরণ করেছিলেন জামাইয়ের। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দেখতে পেলেন জামাইয়ের অন্য রূপ। কাজ করা তো দূর, সারাদিন মদ্যপান করেই কাটায় জামাই। বাধা দিলে মেয়েকে মারধরও করে। গ্রামবাসীদের কাছে ধার-দেনা করায়, তা নিয়েও শুনতে হচ্ছিল নানা কথা। নিত্যদিনের এই অত্য়াচার থেকে মুক্তি পেতেই চরম পদক্ষেপ করলেন শাশুড়ি। রাগের বশে বোল্ডার দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে দিলেন জামাইয়ের মাথা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাগপুরে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে বছর ৫৮-র ওই মহিলা মদ্যপ জামাইয়ের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন। বাজারগাঁওয়ের বাসিন্দা ওই মহিলা রবিবার তাঁর জামাইকে খাদানের ধারে একটি ফাঁকা জায়গায় দেখা করতে বলেছিলেন। সেখানে ওই যুবক গেলে, পিছন থেকে হামলা করেন ওই মহিলা। ভারী বোল্ডার দিয়ে জামাইয়ের মাথায় আঘাত করেন তিনি। এরপরে পাথরের পিছনে দেহ লুকিয়ে পালিয়ে আসেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর কয়েকজন শ্রমিক ওই যুবকের দেহ দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন। দেহ উদ্ধারের পরই খুনের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়। এক গ্রামবাসীই পুলিশকে জানান যে ওই যুবককে শেষবার তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এরপরই সন্দেহের বশে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় ওই মহিলা জানান, বোল্ডার দিয়ে আঘাত করে তাঁর জামাইকে খুন করেছেন। তিনি জানান, তাঁর জামাই নিত্য়দিন মদ্য়পান করতেন। তারপরে মেয়েকে হেনস্থা ও শারীরিক নিগ্রহও করতেন।
ওই মহিলা আরও জানান, গত ২৭ ডিসেম্বরও ওই যুবক মদ খেয়ে তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে মারধর করেন। এরপরেই তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। জামাইকে গ্রামের ধারে একটি ফাঁকা জায়গায় দেখা করতে বলেন। সেখানে ওই যুবক গেলে, পিছন থেকে হামলা করেন তিনি। বোল্ডার দিয়ে মাথা থেঁতলে দেন।