কুমাতাও হয়! ইন্সটাগ্রামে আলাপ, মাখো মাখো প্রেমে বাধ সাধছিল একরত্তি মেয়ে, ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিল যুবতী
Murder: শুক্রবার দিল্লির দীপচন্দ বন্ধু হাসপাতালে এক শিশুকে নিথর অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শিশুটির দেহ খতিয়ে দেখতেই পুলিশের নজরে আসে যে তাঁর গলায় আঙুলের দাগ।
নয়া দিল্লি: প্রথম স্বামী ছেড়ে চলে গিয়েছে। পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে একাই লড়াই চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ ইন্সটাগ্রামে পরিচয় এক যুবকের। জমে উঠল মাখো মাখো প্রেম। কিন্তু পথের কাঁটা তাঁর ছোট্ট মেয়েই। এক সন্তানের মায়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে নারাজ যুবকের পরিবার। বিয়ে করার জন্যই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন যুবতী। নিজের কন্যা সন্তানকেই খুন করলেন মা।
ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির অশোক বিহারে। পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। জেরায় যুবতী জানায়, প্রেমিককে বিয়ে করতে চায় সে। কিন্তু প্রেমিকের পরিবার তাঁর কন্যা সন্তানকে গ্রহণ করতে নারাজ। নতুন সংসার পাতার জন্যই সন্তানকে গলা টিপে খুন করেন যুবতী।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দিল্লির দীপচন্দ বন্ধু হাসপাতালে এক শিশুকে নিথর অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শিশুটির দেহ খতিয়ে দেখতেই পুলিশের নজরে আসে যে তাঁর গলায় আঙুলের দাগ।
এরপরই শিশুটির মা ও পরিবারের সদস্যদের জেরা করা হয়। প্রথমে নানা অজুহাত দিলেও, পরে ওই যুবতী স্বীকার করে নেয় যে সে-ই খুন করেছে কন্যা সন্তানকে। যুবতী জানায়, স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সে একাই লালন-পালন করছিল কন্যাসন্তানকে। ইন্সটাগ্রামে একদিন রাহুল নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। রাহুলকে বিয়ে করতেই দিল্লিতে চলে আসে। কিন্তু প্রেমিকের পরিবার আপত্তি তোলে। আগের পক্ষের সন্তানকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।
প্রত্যাখান সহ্য করতে না পেরেই ওই যুবতী তাঁর সন্তানকে গলা টিপে খুন করে। পুলিশ ওই যুবতীকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যয় সংহিতার ১০৩, ৬৫(২) এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।