প্রতি রাতে ‘ধর্ষণ’-অত্যাচার, চোখে-মুখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে আঠা লাগিয়ে দিল প্রেমিক
Physical Assault: গত মঙ্গলবার অত্যাচার চরমে ওঠে। প্লাস্টিকের পাইপ ও বেল্ট দিয়ে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে অভিযুক্ত। এরপরে তাঁর চোখে ও মুখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে দেয়। মুখ বন্ধ রাখতে আঠা দিয়ে দুটি ঠোটও জুড়ে দেয়।
গুনা: বাড়ির অমতে প্রেমিকের সঙ্গে লিভ ইন থাকতেন। চরম পরিণতি হল তার। নিত্যদিন শারীরিক নির্যাতন, মারধরের শিকার হলেন যুবতী। টানা এক মাস ধরে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন অভিযুক্ত। এতেই থামেনি অভিযুক্ত, চোখে-মুখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে, মুখে আঠা দিয়ে আটকে দিল। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই গোটা ঘটনাটি সামনে আসে।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের গুনা জেলায়। বছর তেইশের এক যুবতীকে এক মাস ধরে ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেই বিষয়টি সামনে আসে।
পুলিশের কাছে যুবতী বয়ানে জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার অত্যাচার চরমে ওঠে। প্লাস্টিকের পাইপ ও বেল্ট দিয়ে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে অভিযুক্ত। এরপরে তাঁর চোখে ও মুখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে দেয়। মুখ বন্ধ রাখতে আঠা দিয়ে দুটি ঠোটও জুড়ে দেয়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক পাশের বাড়িতেই থাকত। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাড়িতে জানাজানি হতেই যুবতীর মা তাঁকে নিয়ে শিবপুরীতে চলে যান। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে আসে যুবতী। পরিবারের অমতেই অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে লিভ ইনে থাকতে শুরু করে।
প্রথমে সবকিছু ভাল হলেও, কয়েক মাস পর থেকে শুরু হয় অত্যাচার। প্রতি রাতে যুবতীকে ধর্ষণ করত অভিযুক্ত। এমনকী, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও মদত দিত। পরিবারের কয়েকজনও যুবতীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রায় এক মাস ধরে এই অত্যাচার চলে। যুবতীকে তাঁর পারিবারিক সম্পত্তিও নিজের নামে করে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে অভিযুক্ত। না করতেই মারধর, অত্যাচার করত।
যুবতীর বয়ানের উপরে ভিত্তি করেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তাঁর বাড়ি থেকে বেআইনি মদও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।