লখনৌ: রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে মন্ত্রিসভার এই সম্প্রসারণ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনী অঙ্কের কথা মাথায় রেখেই এই সম্প্রসারণ, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মন্ত্রিসভায় উল্লেখযোগ্য নতুন মুখ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে (Bjp) আসা জিতিন প্রসাদ (Jitin Prasad)।
কংগ্রেসে (congress) থাকাকালীন জিতিন রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। এছাড়াও উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের ব্রাহ্মণ মুখ হিসেবে যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন তিনি। গো বলয়ের এই রাজ্যটিতে মোট ১৩ শতাংশ ব্রাহ্মণ ভোট রয়েছে। মন্ত্রিসভায় জিতিনের অন্তর্ভুক্তি সেই ব্রাহ্মণ ভোটের একটা বড় অংশ বিজেপির দিকে নিয়ে আসতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও বিজেপি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজের ঠাকুর সম্প্রদায়ের হওয়ায়, সেই রাজ্যের ব্রাহ্মণদের একটা বড় অংশ যোগীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করতেন। ভোটের আগে জিতিনকে মন্ত্রী করায় সেই ক্ষত অনেকটাই মেরামত হবে বলেই মত বিজেপির।
এছাড়াও বহেন্দির বিধায়ক ছত্রপাল গংওয়ার, গাজীপুর সদরের প্রথমবারের জন্য নির্বাচিত বিধায়ক ড. সঙ্গীতা বলবন্ত বিন্দ, আগ্রার বিধান পরিষদের সদস্য ধর্মবীর প্রজাপতি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এরা প্রত্যেকেই ওবিসি সমাজের প্রতিনিধি। মন্ত্রী হয়ে সঙ্গীতা জানিয়েছেন ” যত অল্প সময়ই থাকনা কেন আমরা জনগণের জন্য কাজ করবো। বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ‘ এই চিন্তাধারাকে পাথেয় করে সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের কাজের সুযোগ দিয়েছে।”
এছাড়াও তফশিলি সম্প্রদায়ের মুখ হিসেবে দীনেশ খাতিক, সঞ্জীব কুমার, পল্টু রাম যোগী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন। মন্ত্রী হয়ে দীনেশ খতিক বলেছেন ” আমি দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপির অনুগত সৈনিক। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এর কথা মাথায় রেখেই আগামী দিনে কাজ করবো। দলিতরা একজোট হয়ে বিজেপিকে আগের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিল। এবারও তার অন্যথা হবে না।”
মন্ত্রিসভার এই সম্প্রসারণের টুইট করেছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi party) প্রধান অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। যোগী মন্ত্রিসভার এই সম্প্রসারণকে তিনি বিজেপির ‘ধাপ্পাবাজি ‘ আখ্যা দিয়েছেন। বিজেপিকে আক্রমণ করে অখিলেশের আরও অভিযোগ ভোটের মাত্র তিন মাস আগে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতেই বিজেপি এই জঘন্য কাজ করেছে।
उप्र की भाजपा सरकार का मंत्रिमंडल विस्तार भी एक छलावा है। साढ़े चार साल जिनका हक़ मारा आज उनको प्रतिनिधित्व देने का नाटक रचा जा रहा है। जब तक नये मंत्रियों के नामों की पट्टी का रंग सूखेगा तब तक तो 2022 चुनाव की आचार संहिता लागू हो जाएगी।
भाजपाई नाटक का समापन अंक शुरू हो गया है। pic.twitter.com/eA70nUYjy0
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) September 26, 2021
২০২২ সালে উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। কথায় আছে “দিল্লির রাস্তা উত্তর প্রদেশ হয়েই যায়”। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে অঘোষিত সেমি ফাইনালে মতো। তাই ভোটের আগে মন্ত্রিসভার এই সম্প্রসারণের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষের মন পাওয়ার চেষ্টা করলো বিজেপি। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।