কলকাতা: আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। কখনও বঞ্চিতদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানদের। কখনও আবার দেখা গিয়েছে শাসকদলের মধ্যেই চলেছে দোষারোপের পালা। কিন্তু এইসবের মধ্যে হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সময়। কারণ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই আবাস যোজনার জন্য কেন্দ্রের কাছে উপভোক্তাদের নাম অনুমোদন করাতে হবে। অথচ কাজ এখনও বিশ বাঁও জলে।
তবে পঞ্চায়েত দফতর পুরোপুরি আশাবাদী তারা চারদিনে কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবে। জানা গিয়েছে, ২০২২-২০২৩ আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ জন উপভোক্তা বাড়ি পাবেন। তার মধ্যে বুধবার দু’লক্ষ পর্যন্ত পোর্টালে আপলোড করা হয়েছে। বাকি রয়েছে ৯ লক্ষ। তবে পঞ্চায়েত দফতর জানাচ্ছে, চারদিন সময় কম মনে হলেও তারা আশাবাদী এই কয়েকদিনের ভিতরই বাকি তথ্য পোর্টালে আপলোড হয়ে যাবে। তার কারণ দিনভর এই কাজের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পেতে প্রাথমিকভাবে ৫৬ লক্ষ নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। তবে যোগ্যতা না থাকায় ৫ লক্ষ নাম বাদ যায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজ্য ঝাড়াই-বাছাই করে আরও ১০ লক্ষ নাম বাদ দেয়। তার মধ্যে ২৯ লক্ষ নাম নথিভুক্ত হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে বাড়ি পাবেন ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ জন।
কীভাবে আপলোড হয় কেন্দ্রীয় পোর্টালে?
পঞ্চায়েত দফতর থেকে কেন্দ্রীয় পোর্টালে উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত করা হয়। এরপর তিনবার (বিডিও,এসডিও,ডিএম) চলে স্ক্রটিনির কাজ। এরপরও যদি দেখা যায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাহলে পঞ্চায়েত দফতর থেকে সেখানে গিয়ে স্ক্রুটিনি করা হয়।
প্রসঙ্গত, আজ আবাস যোজনা নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক ছিল জেলাশাসকদের। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭৪ হাজারের মতো উপভোক্তাকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিভিন্ন জেলা। মোট ছাড়পত্র বা অনুমোদন পাবে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮। আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত ২ লক্ষের মতো ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর আর পুরুলিয়ার মতো কিছু জেলায় কাজ খুব ধীরে হওয়ায় তাদের গতি আনতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিবের।