কলকাতা : রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর হাসপাতালগুলির পরিষেবার ওপর নজর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। কেন্দ্রের নির্দেশে মঙ্গলবারই মক ড্রিল করা হয়েছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে। তবে এই তৎপরতার মধ্যে উদ্বেগের বিষয় হল ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) অভাব। রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকা নেই, টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককেই। এই পরিস্থিতি সামনে আসতেই এবার নবান্নে চিঠি দিল স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, কোভিশিল্ড ও কর্বিভ্যাক্সের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। কোভ্যাক্সিনের মজুতও খুব বেশি নয়। কেন্দ্রের কাছে আরও টিকা চাওয়া হবে কি না, তা জানতে চেয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে রয়েছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোভ্যাক্সিনের ডোজ়। কোভিশিল্ড ও কর্বিভ্যাক্স নেই। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ১২০০ ডোজ় টিকা বিতরণ করা হচ্ছে রাজ্যে। পরিসংখ্যান বলছে, ডিসেম্বরে সরকারি টিকা কেন্দ্রগুলি থেকে ২১ হাজার ও বেসরকারি টিকা কেন্দ্রগুলি থেকে ১২ হাজার ডোজ় টিকা দেওয়া হয়েছে। বুধবারের (২৮ ডিসেম্বরের) হিসেব অনুযায়ী, গত সাতদিনে বেসরকারি কেন্দ্র থেকে ৯ হাজার ৭০০ ডোজ় ও সরকারি কেন্দ্রে ৬ হাজার ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণে গতি বাড়াতে প্রয়োজন আরও বেশি টিকা। সে কারণেই এবার নবান্নে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য ওডিশায়, ফলে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগের বিষয়টা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দরে আগত এক বিদেশিনির শরীরেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। যদিও তাঁর নমুনার জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়নি এখনও। আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও অনভিপ্রেত পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সে দিকে নজর রাখছে স্বাস্থ্য দফতর।