কলকাতা: রাজারহাটের নারায়ণপুরে দেবজ্যোতি ঘোষ ওরফে টাক বাবাইকে গতসন্ধেয় গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তার। সেই গুলিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছেন নারায়ণপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সুজয় দাস ও বিক্রম মাহাত। সুজয়ের বাড়ি নারায়ণপুরেরই পার্থনগর লালকুঠি এলাকায়। আর বিক্রমের বাড়ি ইছাপুর নবাবগঞ্জ এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পুরনো ব্যক্তিগত আক্রোশের থেকেই গতসন্ধের গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়া টাকা পয়সার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলার তত্ত্বও উঠে আসছে।
উল্লেখ্য, মৃত দেবজ্যোতি ওরফে বাবাই ২০১২ সালে একটি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল বিমানবন্দর থানার পুলিশের হাতে। পরে যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল। হাওড়ার সংশোধনাগারে ছিল সে। সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল। নিয়ম মতো থানায় হাজিরা দিতে যেতে হত তাকে। গতকালও নারায়ণপুর থানা থেকে হাজিরা দিয়ে ফিরছিল। আর সেই সময়েই এই হামলা হয়। দেবজ্যোতিকে খুনের অভিযোগে ধৃত সুজয়ও এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ২০০৪ সালের বাগুইআটির একটি খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল সে। এককালে সুজয় ও দেবজ্যোতি একসঙ্গেই কাজ করত বলে জানা যাচ্ছে। দমদম-বাগুইআইটি এলাকায় এককালে ত্রাস ছিল সুজয় আর টাক বাবাই। পরবর্তীতে বখরার টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। সেই থেকেই তক্কে তক্কে ছিল সুজয়। বাবাই প্যারোলে মুক্তি পেতেই খুনের ছক কষে। তারপর গতকাল সুযোগ বুঝে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় টাক বাবাইকে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, দেবজ্যোতি ওরফে টাক বাবাইয়ের দেহে অন্তত ৮-১০টি বুলেটের আঘাত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে টাকার ভাগ বাটোয়ারা ও ব্যক্তিগত আক্রোশের তত্ত্বই উঠে আসছে। তবে শুধুই কি এটাই কারণ? নাকি এর নেপথ্যে আরও বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? তদন্তে নেমে সব দিক খতিয়ে দেখছে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখা ও নারায়ণপুর থানার পুলিশ।