কলকাতা: চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দিল্লিতে জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের তিন পুলিশ সুপার ও দুই জেলাশাসকের। গত সোমবার তাঁদের রাজধানীতে কমিশনের অফিসে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকেই জাতীয় এসসি কমিশনের সমন এড়িয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ওই তিনজন পুলিশ সুপার ও দু’জন জেলাশাসক কমিশনের অফিসে হাজিরা না দিয়ে শুধুই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ডেকে পাঠানোর পরেও এভাবে হাজিরা এড়ানো একপ্রকার ‘নজিরবিহীন’ বলেই মনে করছেন জাতীয় এসসি কমিশনের একাংশ।
কেন হঠাৎ জাতীয় তফসিলি কমিশনের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের? উল্লেখ্য, বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে দিকে দিকে অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ উঠেছিল। রক্ত ঝরেছে শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষেরই। এমন অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ও পরবর্তী সময়ে তফসিলি জাতিভুক্ত মানুষজনের উপরেও অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। সেই সূত্র ধরেই রাজ্যের তিন পুলিশ সুপার ও দুই জেলাশাসককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল দিল্লিতে কমিশনের অফিসে।
এদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পাঁচ আধিকারিককে ডেকে পাঠানোর পরেও হাজিরা এড়ানোয় মোটেই সন্তুষ্ট নয় জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন। হাজিরা এড়ানো ওই তিন পুুলিশ সুপার ও দুই জেলাশাসকের বিরুদ্ধে এর পর কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে, সেই বিষয়ে কমিশন আইনি পরামর্শ নিচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে।
কী কী আইনি পদক্ষেপ হতে পারে? সূত্রের খবর, এই ধরনের ক্ষেত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। কিংবা কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে নালিশ জানিয়ে ওই অফিসারদের আরও একবার সুযোগ দিতে পারে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে উল্লেখ করে রাখা প্রয়োজন, হাজিরা এড়ালেও কমিশনের কাছে ই-মেল মারফত নিজেদের রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন দুই জেলাশাসক ও তিন পুলিশ সুপার। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে শুধু রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়ার কমিশন সন্তুষ্ট নয় বলেই সূত্রের খবর।