কলকাতা: ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’-এর পর এবার ‘পিএম অব ভারত’ নতুন করে উস্কে দিচ্ছে দেশের নাম পরিবর্তন বিতর্ক। ইন্দোনেশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সফরের যে সরকারি নোট প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানেই লেখা রয়েছে, ‘পিএম অব ভারত’। এই নোট প্রকাশ্যে এনে সরব এনডিএ বিরোধী দলগুলি। বুধবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধীর বলেন, “কী আর করা যাবে? ভারতবর্ষের সংবিধানে প্রথমেই লেখা আছে ইন্ডিয়া, দ্যাট ইজ ভারত শ্যাল বি ইউনিয়ন অব স্টেটস।” তবে অধীরের প্রশ্ন, ২০১৫ সালে কেন এই সরকারই সুপ্রিম কোর্টে দেশের নাম পাল্টানোর বিরোধিতা করেছিল?
প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, “২০১৫ সালে এই সরকারই সুপ্রিম কোর্টে বলেছিল, দেশের নাম পাল্টানোর কোনও দরকার নেই। যেমন আছে তেমনই থাক। এখন ইন্ডিয়া নামে ভয় পাচ্ছে নিশ্চয়ই। কারণ ইন্ডিয়া নামে যে জোট হয়েছে তাতে এই সরকার একটু ভীত বা চিন্তিত। তাই অকারণে যে বিতর্কের দরকার ছিল না সেটা ময়দানে নামিয়ে এনেছে। অথচ ভারতবর্ষের যে সমস্যা, মানুষের যে সমস্যা সেগুলি থেকে নজর সরাচ্ছে।”
জি-২০ সম্মেলনে কেন্দ্রের তরফে সম্প্রতি আমন্ত্রণবার্তা পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। সেখানে লেখা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। এরপরই শুরু হয় জল্পনা। তবে কি এবার নাম বদল হতে চলেছে আমাদের দেশের। এ নিয়ে বিরোধীরা যখন সোচ্চার তখন আরও একটি ক্ষেত্রে ‘ইন্ডিয়া’ বদলে গিয়েছে ‘ ভারত’-এ। অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস (ASEAN) সামিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সম্বোধন করা হয়েছে ‘প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত’ বলে। যদিও ভারতের সংবিধান বলছে, এতে বিতর্কের কোনও জায়গাই নেই। কারণ, ইন্ডিয়াকে ভারত বলাই যায়।