কলকাতা: সিআইডি হেফাজতে থাকাকালীন ধৃত ব্যক্তি ফোন ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগেই ভুয়ো কলসেন্টার মামলায় হাইকোর্ট চত্বর থেকে কুণাল গুপ্তাকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। ইডির তরফে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেই একটি মামলা রুজু করে তদন্ত চালানো হচ্ছিল। সেই মামলায় হাইকোর্টে হলফনামা দিতে এসেছিলেন কুণাল গুপ্তা। তখনই তাঁকে পাকড়াও করেছিল সিআইডি। কেন সিআইডি গোয়েন্দারা হঠাৎ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিল, তা নিয়ে আদালতে সেদিনই প্রশ্ন তুলেছিল ইডি। আর এবার ওই ব্যক্তি সিআইডি হেফাজতে থাকাকালীন ফোন ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ ইডির। চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টে মামলার শুনানির সময়ে বিষয়টি আদালতের নজরে আনে ইডি। গতকাল আদালতের নির্দেশনামাতেও সেই বিষয়টির কথা উল্লেখ রয়েছে।
হাইকোর্টে এই বিষয়টির উপর ইডি আলোকপাত করতেই শোরগোল পড়ে যায় আইনজীবী মহলে। আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ, এমন ঘটনা আসলে নিয়ম লঙ্ঘনের সামিল। গ্রেফতারির পর কোনও অভিযুক্ত হেফাজতে থাকাকালীন ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি কীভাবে সিআইডি হেফাজতে থাকাকালীন ফোন ব্যবহার করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। আদালতের নির্দেশনামায় উল্লেখ রয়েছে, ইডির আইনজীবী বলেছেন, ওই ব্যক্তি সিআইডির হেফাজতে থাকাকালীন নিজের অফিসারদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন।
অন্যদিকে অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবীর আবার বক্তব্য ছিল, সিআইডি-ই তরফেই তাঁর মক্কেলকে বলা হয়েছিল নিজের সঙ্গীদের ফোন করতে। তদন্তের স্বার্থেই হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সিআইডি বলেছিল বলে দাবি অভিযুক্তর আইনজীবীর। যদিও সিআইডির বক্তব্য, তারা কোনও অনৈতিক কাজ করেনি। সে কথা আদালতকেও জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, ভুয়ো কল সেন্টার মামলায় অভিযুক্ত কুণাল গুপ্তার ইতিমধ্যেই ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ ইডির অফিসারদের হাতে এসেছে। গত সপ্তাহেই কুণাল গুপ্তার অফিস-সহ বিভিন্ন জায়গায় গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা। সেই সময়েই এই সব নথির সন্ধান মিলেছে বলে সূত্রের খবর।