পশ্চিমবঙ্গ: বাংলায় ফের মিলল ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ। রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনার নয়া স্ট্রেইনে আক্রান্তের সংখ্যা এসে পৌঁছল ২০-তে। আর অ্যাক্টিভ কেস ১৬টি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা দেশে এ পর্যন্ত ১,৫২৫ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার নয়া স্ট্রেইন ভয় ধরাচ্ছে দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো শহরে। এই বড় শহরগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। বিশ্বের একাধিক দেশে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে করোনা টিকাকরণ।
বাংলার করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী:
রাজ্যের মধ্যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি কলকাতায়। সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শনিবার সকাল ৯ টার মধ্যে কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৯৮ জন। স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ্য, কত নমুনা পাঠানো হচ্ছে আর কত নমুনা পরীক্ষার পর পজিটিভ হয়ে আসছে। কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ধীরে ধীরে সরিয়ে ওমিক্রন তার থাবা বসাচ্ছে। কলকাতায় টেস্ট ও পজিটিভিটি রেটও সমান হারে বাড়ছে।
ফের আংশিক লকডাউনের পথে যেতে পারে রাজ্য। মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কলকাতা পুরনিগমে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যদি একটি ফ্ল্যাটে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে ওই আবাসনকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ওই আবাসনের লিফট স্যানিটাইজ করতে হবে। আবাসনের সুইমিং পুল, জিম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত এরকম ১১ টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে:
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। ৪৬০ জনের শরীরে ওমিক্রন মিলিছে বলে খবর। তার পরেই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে এ পর্যন্ত ৩৫১ জনের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেইন মিলেছে। এর পর গুজরাট (১৩৬), তামিলনাড়ু (১১৭), কেরল (১০৯), কর্নাটক (৬৪) – এর মতো রাজ্য রয়েছে। আর বাংলায় ২০ জন ওমিক্রন আক্রান্ত খোঁজ মিলেছে। সব মিলিয়ে দেশের ২৩ টি রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, করোনার এই নয়া স্ট্রেইন থেকে ইতিমধ্যে ৫৬০ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। এদিকে ভয় ধরাচ্ছে কোভিড গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৫৫৩ জন। যা এক ধাক্কায় ২১ শতাংশ বৃদ্ধি। দেশে করোনা পজিটিভিটি হার এখন ২.৫৫ শতাংশ।