কলকাতা: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? ২০১৬ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। অভিযোগ ওঠে, ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teacher Recruitment) প্রক্রিয়া অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। কয়েক জন পরীক্ষার্থী জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানি ছিল সোমবার। সেসময় বিচারপতি পর্ষদ সভাপতিকে জানাতে বলেছিল, আদৌ অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না। পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করা হয়েছিল। সোমবার আদালতে হলফনামা জমা দেয় পর্ষদ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কীভাবে নিয়োগ? ১.৫-২ মিনিটের সময়ে কীভাবে একসঙ্গে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়? বিচারপতির পর্ষবেক্ষণ, পর্ষদের হলফনামাতেও অ্যাপটিটিউড টেস্টের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ইন্টারভিউ নেওয়াই হয়নি। সোমবার পর্ষদ ২০১৬ সালে প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা পেশ করেছে।
সেই তালিকা থেকে প্রথম পর্যায়ে, হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর দুটোর মধ্যে তাঁদের আদালতে হাজিরা দিতে হবে। প্রত্যেককে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় আদালত। রুদ্ধদ্বারে আদালতে প্রশ্নোত্তর শুনানি পর্ব চলবে বলে জানা গিয়েছে।
বিচারপতি এও জানিয়ে দেন, দূরের জেলার ওই শিক্ষকদের যাতায়াত খরচ বাবদ দু’হাজার টাকা করে দেবে পর্ষদ। কাছের জেলার জন্য যাতায়াত খরচ হবে ৫০০ টাকা।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের অংশ হিসেবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়ে থাকে। এর জন্য আলাদা নম্বরও রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এটি নেওয়া বাধ্যতামূলক। শিক্ষকরা বাচ্চাদের কীভাবে পড়াবেন, সেটাই পরীক্ষকরা আসলে দেখে নিতে চান। সেক্ষেত্রে ইন্টারভিউ হলেই রাখা থাকে চক, পেন্সিল, ব্ল্যাকবোর্ড। অভিযোগ, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে।
ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নম্বর উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি করে চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় আগে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবার একাধিক জেলা থেকে শিক্ষকদের তলব করা শুরু করল আদালত।