কলকাতা: ক্রমেই অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে উত্তরবঙ্গের। ভাসছে সিকিম। পাহাড়ের দু-কোল ছাপিয়ে ফুঁসছে তিস্তা। শুধু তিস্তা নয়, রংফু নদীর জলস্তরও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাতেই বাড়ছে ভয়। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন ২৩ জন সেনা জওয়ান। সিকিমে গিয়ে নিখোঁজ রায়গঞ্জের দুই ভাই-সহ ৩ জন যুবক। দুর্যোগ মাথায় নিয়েই জোরকদমে তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এরইমধ্য়ে এডুকেশনাল ট্যুরে গিয়ে সিকিমে আটকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন পড়ুয়া। তাতেই আরও চিন্তা বাড়ল দক্ষিণবঙ্গে।
সূত্রের খবর, ২৫ পড়ুয়াই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের। সিকিমে সার্ভের কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। যাওয়ার কথা ছিল নর্থ সিকিম। সূত্রের খবর, বর্তমানে সেখানে না যেতে পেরে গ্যাংটকের হোটেলে আটকে রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ৩ জন অধ্যাপকও। এদিকে ৭ তারিখ রয়েছে তাঁদের ফেরার ট্রেন। কিন্তু, ফিরবেন কীভাবে, তা নিয়েই বাড়ছে চিন্তা।
এই দলেই রয়েছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পড়য়া মহম্মদ ইয়াসিন। আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে তাঁর মনেও। বলছেন, “সার্ভের জন্য আমরা এসেছি। মঙ্গলবার সিকিম পৌঁছাই। কিন্তু, এখন আবহাওয়া ঠিক না থাকায় আমরা হোটেলে আটকে পড়েছি। চিন্তা একটু তো হচ্ছে। ৭ তারিখ আমাদের ফেরার টিকিট রয়েছে। তারমধ্যে অবস্থা ঠিক না হলে কী হবে বুঝতে পারছি না। আমাদের তো জলপাইগুড়ি দিয়ে ফিরতে হবে। কিন্তু, ওখানে তো রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ।” চিন্তায় অধ্যাপকেরাও। এক অধ্যাপক ফোনে বলেন, “এখন আমরা গ্যাংটকে আছি। আমরা ৩ জন শিক্ষক ছাড়াও আমাদের সঙ্গে ২৫ জন পড়ুয়া আছে। ৭ তারিখ আমাদের শিলিগুড়ি থেকে ফেরার কথা। কিন্তু, ফেরার জন্য বিকল্প কোনও রাস্তা আছে কি না এখন সেটাই ভাবছি।” প্রসঙ্গত, এদিন সিকিমে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা স্বর্ণদ্বীপ মজুমদার (২৩) ও শ্রীকান্ত মজুমদার (২৭)। নিখোঁজ ঈশান নামে তাঁদের আর এক রাঁচির বন্ধু। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এদিকে এরইমধ্যে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি দেখে কন্ট্রোল রুম খুলে ফেলেছে নম্বর। দেওয়া হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর।