কলকাতা: একদিকে যেমন ভাসছে উত্তরবঙ্গ, তেমনই প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এরইমধ্যে মেদিনীপুর থেকে আরামবাগ, রাজ্যের একাধিক প্রান্তে ভারী বর্ষণের জেরে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। নিম্নচাপের লাগাতার বৃষ্টিপাত ও ডিভিসির ছাড়া জলে আরামবাগ মহকুমায় কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। দেখা যাচ্ছে মাঠের পর মাঠ জলচাপা পড়ে গিয়েছে। মহকুমার একাধিক গ্রাম জলমগ্ন। তাতেই মাথায় হাত এলাকার কৃষকদের।
একই অবস্থা পাশের এলাকা জাঙ্গিপাড়ারও। দামোদর নদের জলে প্লাবিত হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতেও মিলছে না সরকারি সহযোগিতা। এমনই অভিযোগ বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের। জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রশিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আকনা, সেনপুর , হরিহরপুর এবং পশপুর গ্রাম জলমগ্ন। পাশাপাশি রাজবোলহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ছিটখোলা গ্রামও চলে গিয়েছে জলের তলায়। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হচ্ছে তাঁদের কর্মীরা ইতিমধ্যেই দুর্গতদের উদ্ধারে মাঠে নেমেছেন। তৈরি হয়েছে আশ্রয় শিবির। দুটি আশ্রয় শিবিরে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পরিবারকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
অন্যদিকে হাওয়া অফিসের তরফে বলা হচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গেও পরিস্থিতি ক্রমেই আরও ভয়াবহ হতে পারে। মেদিনীপুরের বড়িশায় একদিনে ৫২০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার বীরভূমে জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। পাশাপাশি দক্ষিণের বাকি সব জেলায় জারি কমলা সতর্কতা। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই বন্যার জলে ভেঙে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জমিনদারি বাঁধ। ব্যাপক সমস্যায় সবং ব্লকের দু’নম্বর নওগাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতের জরুরা গ্রামের মানুষেরা। জলের তলায় কয়েকশ হেক্টর চাষযোগ্য জমির। ফুঁসছে কপালেশ্বরি নদী। জরুরার পাশাপাশি নন্দপুরা, চক খুনখুনিয়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গিয়েছে।