কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র কাছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত নথি চেয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই সূত্রেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। বিচারপতি সিনহার সেই নির্দেশ যে যুক্তিযুক্ত ছিল, সে কথাই এবার বলল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কোম্পানির টাকার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে আসা উচিত বলে উল্লেখ করল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশেই কার্যত সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি সিনহার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সৌমেন সেন একাধিক প্রশ্ন করেন অভিষেকের আইনজীবী কিশোর দত্তকে। তার জবাব দেন অভিষেকের আইনজীবী।
বিচারপতি সৌমেন সেন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে আপনার মক্কেল কীভাবে যুক্ত?
কিশোর দত্ত: ওই কোম্পানির সিইও তিনি।
বিচারপতি সৌমেন সেন: আপনি যদি সিইও হন, তাহলে সম্পত্তির কথা জানাতে সমস্যা কোথায়?
আইনজীবী কিশোর দত্ত: ইডি-র তরফে যা যা চাওয়া হয়েছে দেওয়া হয়েছে, সবকিছু দেওয়া হয়েছে। প্রমাণের জন্য ডাকা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সমনে।
বিচারপতি সৌমেন সেন: যদি এটা মানিট্রেল হয়, তাহলে এই নথিগুলি প্রয়োজনীয়। সেটা খুঁজে বের করার জন্য এগুলি দরকার।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র জেলে আছেন, আর তিনি ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই সব লেনদেন সামনে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
অভিষেকের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “আপনার লুকনোর কিছু নেই। আপনি একজন সাংসদ। যদি আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাহলে এটা সামনে আনা উচিত।” একইসঙ্গে ইডি সম্পর্কে বিচারপতি বলেন, “বোঝা যাচ্ছে ইডি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নয়। এটা দুর্ভাগ্যজনক।” অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ থাকলে ডিরেক্টর, সিইও-দের হিসেব দিতে হয় বলেও উল্লেখ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।