কলকাতা: আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo) বড়সড় চুরি। কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা চিড়িয়াখানার ভিতর থেকে চুরি গেল তিনটি পাখি। সাত সকালে খাবার দিতে গিয়ে কর্মীরা দেখেন পাখি তিনটি সেখানে নেই। তারপরই শুরু হয় খোঁজ। এর পিছনে কোনও পাখি পাচার চক্রের হাত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনা অবশ্য নতুন নয় আলিপুরে। এর আগে মারমোসেট চুরি গিয়েছিল এই চিড়িয়াখানা থেকেই। এবার বিরল প্রজাতির বিদেশি পাখি উধাও হওয়ার ঘটনা। এবার চুরি গিয়েছে চিলবিল টুকান প্রজাতির তিনটি পাখি। মাঝরাতেই পাখিগুলি চুরি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে চিড়িয়াখান থেকে আটটি মারমোসেট চুরি গিয়েছিল। এবারের ঘটনার সঙ্গে ১২ বছর আগের সেই ঘটনার কিছু মিল রয়েছে। সেবার যে মারমোসেট গুলি চিড়িয়াখানা থেকে চুরি যায় সেগুলি পাচাররে চেষ্টা হয়েছিল আগে। সেখান থেকে উদ্ধার করে আলিপুরে আনা হয়। এবারও অনেকটা একই ঘটনা। বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে এসেছিল এই তিন চিলবিল টুকান। সেগুলিকে উদ্ধার করে বন দফতরে চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসে। সুতরাং এই দুই ঘটনায় পাচার চক্রের যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেভাবেই এগোচ্ছে তদন্ত।
বর্তমানে আলিপুর চিড়িয়াখানায় যা নিরাপত্তার বহর তাতে চুরি যাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগের ঘটনা। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, মার্কিন প্রজাতির এই পাখির বাজার মূল্য ভারতে অন্তত ২০ লক্ষ টাকাল সুতরাং সুপরিকল্পিতভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল ভারত’ গড়তে ৭,৩৫০ কোটির প্রণোদনা প্যাকেজ কেন্দ্রের
পাখিগুলি যে খাঁচায় রাখা হয়েছিল ৷ সেই খাঁচার একটা দিক কেটে ভিতরে ঢুকে কেউ বা কারা টুকান পাখিগুলিকে চুরি করে পালায় বলে জানা গিয়েছে ৷ কর্মীরা দেখতে পেয়েই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এরপর ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।