Jadavpur University: ‘৭০ কিমি বেগে ধেয়ে এল মোটরবাইক’, গাড়ি থামিয়ে মার, রাতের অন্ধকারে কী হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে?
Jadavpur University: সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠের সামনে দিয়ে দ্রুতগতিতে আসছিল একটি বাইক। অথচ সেখানে বোর্ডে লেখা, ১৫ কিমির বেশি গতিবেগে গাড়ি চালানো যাবে না। বাইককে থামানোর চেষ্টা করেন কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী। তখন কিছুদূর গিয়ে বাইক থামিয়ে বাইকচালক নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হইচই। রাতের অন্ধকারে মার খেলেন তিন নিরাপত্তারক্ষী। আর তাঁদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সরব হয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। অভিযোগ দায়ের হয়েছে যাদবপুর থানায়।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠের সামনে দিয়ে দ্রুতগতিতে আসছিল একটি বাইক। অথচ সেখানে বোর্ডে লেখা, ১৫ কিমির বেশি গতিবেগে গাড়ি চালানো যাবে না। বাইককে থামানোর চেষ্টা করেন কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী। তখন কিছুদূর গিয়ে বাইক থামিয়ে বাইকচালক নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, এরপর আরও কয়েকজনকে ডাকেন। মাঠের সামনে আউটপোস্টে ডিউটিরত নিরাপত্তারক্ষীর মারধরের খবর শুনে আরও দুই নিরাপত্তারক্ষী সেখানে যান। তাঁরাও সেখানে গিয়ে আক্রান্ত হন।
স্বপন অধিকারী নামে এক কর্মী বলেন, “নিরাপত্তারক্ষী বাবলু ঘোড়ুই সেইসময় দায়িত্বে ছিলেন। একটি মোটরবাইক ৭০ কিমি বেগে আসছিল। বাইকটিকে থামানোর চেষ্টা করেন বাবলু। বাইকটি না থেমে চলে যায়। একটু দূরে বাইক থামিয়ে এসে আমাদের নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করেন। তাঁকে বাঁচাতে গেলে আরও দুই নিরাপত্তারক্ষী মার খান।” ঘটনাটি নিয়ে সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা।
ঘটনাটি নিয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অনেক রেসিডেন্সিয়াল কোয়ার্টার রয়েছে। সেখানে অনেকে থাকেন। তাঁদের আত্মীয় স্বজনদের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে। নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষে সবাইকে চেনা সম্ভব নয়।” যেসব কর্মীদের আত্মীয়রা এটা করেছেন, তাঁদের শোকজ করা হয়েছে। যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।