Salt Lake TMC infights: ধৃত সুজিতকে জেরাতেই মিলল ফেরারদের খোঁজ , সল্টলেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে গ্রেফতার বেড়ে ৫

TMC infights in Saltlake: বিচারক ধৃতদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে শনিবার রাতের ওই হামলার ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছেন বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশকর্মীরা।

Salt Lake TMC infights: ধৃত সুজিতকে জেরাতেই মিলল ফেরারদের খোঁজ , সল্টলেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে গ্রেফতার বেড়ে ৫
সল্টলেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গ্রেফতার ৫
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 5:59 PM

কলকাতা : সল্টলেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের (Saltlake TMC infights) ঘটনায় পাঁচ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে সল্টলেকের ত্রিনাথ পল্লী এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে। আক্রান্তরা নিজেদের সুজিত বসু (Sujit Basu) অনুগামী বলে দাবি করে। অভিযোগ, যারা হামলা চালিয়েছিল, তারা সব্যসাচী দত্তর (Sabyasachi Datta) অনুগামী। শনিবার রাতের ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয় তিন তৃণমূল কর্মী। এরপর অভিযোগ জানানো হয়, বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে রবিবার ভোরেই সুজিত অধিকারী নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে বেশ কিছু দুষ্কৃতী পলাতক ছিল। অবশেষে গতকাল গভীর রাতে ধৃত সুজিত অধিকারীকে জেরা করে ত্রিনাথ পল্লীতে হানা দেয় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।

সেখান থেকে এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম বিশ্বজিৎ দাস ওরফে পঁচা, সোমনাথ দাস, নীতীশ কুমার মণ্ডল, সন্তু পাত্র এবং নারায়ণ দাস। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত পঁচাকে এর আগেও বহুবার অপরাধমূলক কাজের জন্যে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়াও বাকি অভিযুক্তরাও বিভিন্ন সমাজ বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। আজ অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। পুলিশের তরফ থেকে ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল। বিচারক তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে শনিবার রাতের ওই হামলার ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছেন বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশকর্মীরা।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতের ওই ঘটনার পর যোগাযোগ করা হয়েছিল সুজিত বসুর সঙ্গে। তিনি এই বিষয়টিকে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলতে মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য ছিল, একটি ক্লাবকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ হয়েছিল। এর সঙ্গে সুজিত বসু বা সব্যসাচী দত্তের কোনও যোগ নেই। এমনকী, যাঁরা এতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ তুলেছেন, তা নিজেদের স্বার্থেই তুলেছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন সুজিত বাবু। তবে বিষয়টি নিয়ে তখন সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।