কলকাতা: ধীর গতিতে হলেও এ রাজ্যেও ক্রমশ সংক্রমণের ডালপালা ছড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস। প্রতিদিনই রাজ্যের কোনও না কোনও জেলায় একাধিক নতুন মামলা ধরা পড়ছে। এ দিনই আবার কৃষ্ণ ছত্রাকের এই সংক্রমণকে মহামারি বলে ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার। আতঙ্ক বৃদ্ধি করে বৃহস্পতিবার রাজ্যে আরও ৪ জনের দেহে এই ছত্রাকের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গও অদূর ভবিষ্যতে একে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে কি না সেদিকে নজর থাকবে রাজ্যবাসীর।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আজ যে ৪ ব্যক্তির দেহে মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁদের মধ্যে ৩ জন বিহারের এবং ১ জন অসমের। আরও এক রোগী রয়েছেন সন্দেহভাজনের তালিকায়। ফলে সন্দেহভাজন মিলিয়ে মোট ১৮ জনের এই সংক্রমণ হয়েছে যাদের মধ্যে ১৩ জন নিশ্চিত। বাকি ৫ ব্যক্তিকে নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে যারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণেই মারা গিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এখনও এর নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘টিকা না নিলে আগামী মাসের বেতন বন্ধ’, সরকারি নির্দেশিকায় হইচই
কিন্তু যেভাবে মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণের গ্রাফ এ রাজ্যেও বাড়ছে, তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে আগামী সময় দিল্লির পথে হেঁটে একে মহামারি ঘোষণা করতে পারে বাংলাও। কেননা এ দিনই নতুন করে রাজধানীতে ১৫৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ পেরিয়েছে। কোভিড সেরে ওঠার পর এমন সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরই। ফলে আপামর চিকিৎসকদের দুশ্চিন্তায় রেখেছে বিরল প্রজাতির এই ছত্রাকের প্রকোপ। যে কারণে করোনা চিকিৎসার সময় নিয়ন্ত্রিত স্টেরয়েড ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা, কোভিডের ‘থার্ড ওয়েভ’ নিয়ে প্রস্তুতি শুরু দিল্লি সরকারের