Howrah News: ‘মাল খেইয়ে মরল সব, রোগ হলে মেয়েছেলেরাও তো মরত’, চোলাইয়ের বেআইনি ঠেক ভাঙতে বিক্ষোভ
'মদ ও লটারি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পকেট ভরছে, তাই পুলিশ কোনও পদক্ষেপও নিচ্ছে না। আর তাতেই ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ', মন্তব্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
হাওড়া: বর্ধমানের পর এবার হাওড়ার ঘুসুরি। মালিপাঁচঘরা থানার অন্তর্গত গজানন এলাকায় মদের বিষক্রিয়ার পরিণতি সেই একই। প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ৬ জন। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০ জনের। হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন প্রায় জনা চল্লিশ। সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষমদের ফলেই এই মৃত্যু। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হাওড়া মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ।
হাওড়া মালিপাঁচঘরা থানার অন্তর্গত গজানন এলাকায় প্রায় ৪০ বছর ধরে বেআইনি মদের কারবার চালাচ্ছেন প্রতাপ কর্মকার। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতাপ কর্মকারের ঠেকের মদ খেয়েই একের পর এক যুবক অসুস্থ হতে শুরু করে। প্রায় প্রত্যেকেরই বমি, পায়খানা হয়। হাসপাতালে নিতে নিতেই শুরু হয় এই মৃত্যুমিছিল। প্রসঙ্গত, প্রতাপ কর্মকারের যে ঠেকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা মালিপাঁচঘরা থানার থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের দূরত্বেই। স্থানীয়রা বারবার এই ঠেক ভেঙে ফেলার দাবি জানালেও পুলিশ প্রশাসন কোনও কথা কানেই তোলেনি। উপরন্তু, অভিযোগ না শুনে এলাকাবাসীদের থানা থেকে বেরও করে দেওয়া হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। অভিযুক্ত প্রতাপ কর্মকারের গ্রেফতারির দাবিতে সরব এলাকাবাসী। ক্ষোভে এলাকার বেআইনি মদের ঠেকগুলোতে ভাঙচুর শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় আসতে বাধ্য হয় মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ।
রাজ্যে পরপর এই বিষমদে বলির ঘটনায় শাসকদলকে চরম আক্রমণে বিজেপি। ‘রাজ্য সরকারের অনুপ্রেরণায় বাংলায় দুয়ারে মদ প্রকল্প চলছে। যেহেতু মদ ও লটারি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পকেট ভরছে, তাই পুলিশ কোনও পদক্ষেপও নিচ্ছে না। আর তাতেই ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ’, মন্তব্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।