কলকাতা: শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর, বহরমপুর থেকে কৃষ্ণনগর,শেওড়াফুলি থেকে বর্ধমান, তারকেশ্বর থেকে রামপুরহাট, পূর্ব রেলের অধীনে ২৮ টি স্টেশন এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের অধীনে থাকা ১০টি স্টেশন অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (Amrit Bharat Station Project) অধীনে নতুন করে সেজে উঠতে চলেছে। রবিবারই প্রকল্পের শিলান্যাস করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের রেল স্টেশনগুলির মানোন্নয়নে এবং যাত্রী পরিষেবাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে দেশের ১৩০৯টি রেল স্টেশনের কাজ শুরু হতে চলেছে। আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে অমৃত ভারত সেশন প্রকল্পের অধীনে প্রথম পর্যায়ে দেশের ৫০৮ টি রেল স্টেশনকে পুনরায় গঠন এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যকে উন্নত করার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে চলেছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি জানান পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অলক প্রসাদ দ্বিবেদী।
এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পূর্ব রেলের অধীনে থাকা ২৮টি স্টেশন। সূত্রের খবর, পূর্ব রেলের অধীনে থাকা চারটি ডিভিশনে মোট ২৮ টি স্টেশনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তালিকায় থাকছে আসানসোল ডিভিশনের ৫ টি স্টেশন, হাওড়া ডিভিশনের ৯ টি স্টেশন, মালদহ ডিভিশনের ৭ টি স্টেশন এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের ৭ টি স্টেশন। এই ২৮ টি স্টেশন এর মধ্যে ২১টি পশ্চিমবঙ্গে, ৫টি বিহারে, ২টি স্টেশন ঝাড়খণ্ডে পড়েছে।
সূত্রের খবর, পূর্ব রেলের অধীনস্থ ২৮ টি স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে নতুন করে গঠন করতে মোট ১১৮৭ কোটি ব্যয় হবে রেলের। অন্যদিকে দক্ষিণ পূর্ব রেলের অধীনস্থ ১০টি স্টেশনকে এই প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। খরচ হবে ৫৮৯ কোটি ৫০ লক্ষ। এই ডিভিশনের অধীনে সব থেকে বেশি খরচ করা হবে হাতিয়া স্টেশনের জন্য। বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৩৫৫ কোটি টাকা। পূর্ব রেলের অধীনে সব থেকে বেশি ব্যয় করা হচ্ছে আসানসোল স্টেশনের জন্য। পরিমাণ প্রায় ৪৩১ কোটি টাকা। অন্যদিকে বর্ধমানের জন্য ব্যয় হচ্ছে ৬৪.২ কোটি টাকা, মালদহ টাউন স্টেশনের জন্য ব্যয় করা হবে ৪৩ কোটি টাকা, রামপুরহাট জংশন স্টেশনের জন্য ব্যয় করা হবে ৩৮.৬ কোটি টাকা, কাটোয়া জংশনের জন্য ব্যয় করা হবে ৩৩.৬ কোটি টাকা। এছাড়া বাকি স্টেশন গুলি পিছু ২০ কোটি টাকার কাছাকাছি ব্যয় করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।