কলকাতা: হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা সত্ত্বেও আলিপুরের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতকে সেই তথ্য জানানো হয়নি। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে করা হয়েছে জামিনের আবেদন। সেই কারণে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে আগেই ‘শো-কজ’ করেছিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে হবে বিধায়ককে। জীবনের উত্তরে আদালত সন্তুষ্ট না হলে জরিমানা করা হতে পারে বলেও খবর ছিল। শেষে ‘শো-কজে’র জবাবে আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে ক্ষমা চাইলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।
হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেও নিম্ন আদালতে জামিন চাওয়াতেই ক্ষমা প্রার্থনা করলেন বিধায়ক। তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে আদালতের তরফে। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ১৭ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। গ্রেফতার করে সিবিআই।
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে জীবন কৃষ্ণের নামে প্রচুর তথ্য উঠে আসে সিবিআইয়ের হাতে। তাঁর মুর্শিদাবাদের বাড়িতে টানা ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশিও চালিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকেও উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর নথি। তারপরই করা হয় গ্রেফতার। আগেই আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর তরফে দাবি করা হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ। তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর সময় পুকুরে মোবাইল ফেলে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সিবিআইয়ের দাবি, বহু অযোগ্যকে টাকার মাধ্যমে চাকরি করে দিয়েছেন বিধায়ক। পকেটে ঢুকিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।