Video of Inhuman Green Police: এক্সাইড মোড়ে যুবককে রাস্তায় ফেলে বুকে বুট পরা পা তুলে দিল গ্রিন পুলিশ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 08, 2021 | 6:49 PM

Kolkata: রবিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্র সদন এক্সাইড মোড়ে কর্তব্যরত ছিলেন অভিযুক্ত ওই গ্রিন পুলিশ তন্ময় বিশ্বাস।

Follow Us

কলকাতা: ফুটপাথে কুঁকড়ে পড়ে রয়েছে বছর কুড়ির এক যুবক। তাঁর বুকে-পিঠে অনবরত আঘাত করে চলেছে ভারী বুট পরা এক জোড়া পা। বুট জোড়া যাঁর পায়ে, তিনি আবার গ্রিন পুলিশ। খাস কলকাতার বুকে এমন নৃশংস, মধ্যযুগীয় অত্যাচারের ছবি উঠে এল। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। তিনি জানান, ঘটনার রাতেই বরখাস্ত করা হয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তবে আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ভাইরাল। যা ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠছে।

জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্র সদন এক্সাইড মোড়ে কর্তব্যরত ছিলেন অভিযুক্ত ওই গ্রিন পুলিশ তন্ময় বিশ্বাস। অভিযোগ, সেই সময় এক্সাইড মোড় থেকে হাওড়াগামী একটি বাস থেকে নাকি এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাই করে পালাচ্ছিলেন বছর কুড়ির ওই যুবক। পালাতে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ওই যুবককে ধরে ফেলেন। এরপরই উত্তেজিত জনতা এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি মারতে শুরু করে ওই যুবককে।

গ্রিন পুলিশ তন্ময় বিশ্বাসের দাবি, তিনি প্রথমে উন্মত্ত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করেন। কিন্তু তাঁর নাগাল ছেড়ে ওই যুবক পালাতে গেলে আটকানোর চেষ্টা করেন তন্ময়। সেই কারণেই যুবককে ফুটপাথে ফেলে ঠেসে ধরে বুট দিয়ে চেপে ধরেন। বুকে বুট পরা পা তুলে দেন তন্ময়। সেই মুহূর্তের ছবিই ভাইরাল হয় সোশ্যাল হয়।

কারণ যাই হোক, একজন গ্রিন পুলিশ এক সাধারণ নাগরিকের বুকে বুট পরা পা তুলে দিচ্ছেন, রাজ্যের রাজধানীতে এমন ছবি কখনও কাম্য নয় বলেই দাবি করেছে ওয়াকিবহাল মহল। এতটা অমানবিক কেউ কী ভাবে হতে পারে প্রশ্ন তুলেছে তারা।

বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোনও ভাবেই কাঙ্খিত তো নয়ই, এমন ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক। মানুষের সহনশীলতা কমছে, ব্যক্তিগত হিংসা বাড়ছে। এ সমস্ত কিছু তারই প্রতিফলন। যার হাতে কিছুটা ক্ষমতা থাকছে এবং সেই ক্ষমতা কোথাও সে ব্যবহার করছে তখনই এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শুধু কলকাতা বা জেলা বলে নয়, ভারতবর্ষ বলে নয়, সারা পৃথিবীজুড়েই এই ছবি দেখা যাচ্ছে। এর আগেও দেখেছি। এটা আসলে একটা কোথাও ক্ষমতার অপব্যবহার। সে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সে। তখনই ক্ষমতার এ ভাবে বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে।”

প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসাবে এই গ্রিন পুলিশ কাজ করছিলেন। তিনি কোনও ভাবেই, কোনও পরিস্থিতিতেই এ ভাবে একজন সাধারণ মানুষের বুকে পা তুলে বিচার করতে পারেন না বলেই মত বিশিষ্ট মহলের। প্রয়োজনে ওই যুবককে ধরে নিয়ে থানায় যেতে পারতেন। এক্সাইডের মতো ব্যস্ত জায়গায় পুলিশ কিয়স্ক রয়েছে। প্রচুর সাধারণ পুলিশ কর্মীও মোতায়েন থাকেন। তাঁদের ডাকতে পারতেন। কিন্তু একজনকে নিছক ধরে রাখার জন্য পায়ে, বুকে বুট দিয়ে ঠেসে ধরা কখনওই প্রশাসনের কোনও প্রতিনিধির ‘কর্তব্য পালনের’ পথ হতে পারে না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: ধর্মান্তকরণ মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করল উত্তর প্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা

কলকাতা: ফুটপাথে কুঁকড়ে পড়ে রয়েছে বছর কুড়ির এক যুবক। তাঁর বুকে-পিঠে অনবরত আঘাত করে চলেছে ভারী বুট পরা এক জোড়া পা। বুট জোড়া যাঁর পায়ে, তিনি আবার গ্রিন পুলিশ। খাস কলকাতার বুকে এমন নৃশংস, মধ্যযুগীয় অত্যাচারের ছবি উঠে এল। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। তিনি জানান, ঘটনার রাতেই বরখাস্ত করা হয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তবে আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ভাইরাল। যা ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠছে।

জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্র সদন এক্সাইড মোড়ে কর্তব্যরত ছিলেন অভিযুক্ত ওই গ্রিন পুলিশ তন্ময় বিশ্বাস। অভিযোগ, সেই সময় এক্সাইড মোড় থেকে হাওড়াগামী একটি বাস থেকে নাকি এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাই করে পালাচ্ছিলেন বছর কুড়ির ওই যুবক। পালাতে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ওই যুবককে ধরে ফেলেন। এরপরই উত্তেজিত জনতা এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি মারতে শুরু করে ওই যুবককে।

গ্রিন পুলিশ তন্ময় বিশ্বাসের দাবি, তিনি প্রথমে উন্মত্ত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করেন। কিন্তু তাঁর নাগাল ছেড়ে ওই যুবক পালাতে গেলে আটকানোর চেষ্টা করেন তন্ময়। সেই কারণেই যুবককে ফুটপাথে ফেলে ঠেসে ধরে বুট দিয়ে চেপে ধরেন। বুকে বুট পরা পা তুলে দেন তন্ময়। সেই মুহূর্তের ছবিই ভাইরাল হয় সোশ্যাল হয়।

কারণ যাই হোক, একজন গ্রিন পুলিশ এক সাধারণ নাগরিকের বুকে বুট পরা পা তুলে দিচ্ছেন, রাজ্যের রাজধানীতে এমন ছবি কখনও কাম্য নয় বলেই দাবি করেছে ওয়াকিবহাল মহল। এতটা অমানবিক কেউ কী ভাবে হতে পারে প্রশ্ন তুলেছে তারা।

বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোনও ভাবেই কাঙ্খিত তো নয়ই, এমন ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক। মানুষের সহনশীলতা কমছে, ব্যক্তিগত হিংসা বাড়ছে। এ সমস্ত কিছু তারই প্রতিফলন। যার হাতে কিছুটা ক্ষমতা থাকছে এবং সেই ক্ষমতা কোথাও সে ব্যবহার করছে তখনই এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শুধু কলকাতা বা জেলা বলে নয়, ভারতবর্ষ বলে নয়, সারা পৃথিবীজুড়েই এই ছবি দেখা যাচ্ছে। এর আগেও দেখেছি। এটা আসলে একটা কোথাও ক্ষমতার অপব্যবহার। সে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সে। তখনই ক্ষমতার এ ভাবে বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে।”

প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসাবে এই গ্রিন পুলিশ কাজ করছিলেন। তিনি কোনও ভাবেই, কোনও পরিস্থিতিতেই এ ভাবে একজন সাধারণ মানুষের বুকে পা তুলে বিচার করতে পারেন না বলেই মত বিশিষ্ট মহলের। প্রয়োজনে ওই যুবককে ধরে নিয়ে থানায় যেতে পারতেন। এক্সাইডের মতো ব্যস্ত জায়গায় পুলিশ কিয়স্ক রয়েছে। প্রচুর সাধারণ পুলিশ কর্মীও মোতায়েন থাকেন। তাঁদের ডাকতে পারতেন। কিন্তু একজনকে নিছক ধরে রাখার জন্য পায়ে, বুকে বুট দিয়ে ঠেসে ধরা কখনওই প্রশাসনের কোনও প্রতিনিধির ‘কর্তব্য পালনের’ পথ হতে পারে না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: ধর্মান্তকরণ মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করল উত্তর প্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা

Next Article