Uttar Pradesh: ধর্মান্তকরণ মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করল উত্তর প্রদেশ পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা
UP Police, ATS, এখনও অবধি এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের লখনউয়ের এটিএস থানায় দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ধর্মগুরু উমর গৌতম, কলিম সিদ্দিকী সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নয়ডা: রবিবার, বেআইনি ধর্মান্তকরণ মামলার ( illegal religious conversion) আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশের (Uttar Pradesh Police) জঙ্গি দমন শাখা (Anti Terrorist Squad)। জানা গিয়েছে এই নিয়ে ধর্মান্তকরণ মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হল। শেষ যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি দিল্লির বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে। শনিবার তাঁকে নয়ডা (Noida) থেকে আট আটক করা হয়েছে। এটিএস সূত্রে খবর ধৃত ব্যক্তি এই ধর্মান্তকরণের ঘটনায় বাকিদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এক বিবৃতিতে জঙ্গি দমন শাখা জানিয়েছে, “অভিযুক্ত আবদুল্লাহ উমার গৌতম দিল্লির জামিয়া নগর এলাকার বাসিন্দা। এর আগে বেআইনি ধর্মান্তকরণ মামলা জড়িত থাকার সন্দেহে যাদের আটক করা হয়েছিল, এই ব্যক্তি নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। বিদেশ থেকে প্রাপ্ত বিপুল অঙ্কের টাকা ধর্মান্তকরণে লেনদেনর সঙ্গে এই ব্যক্তি জড়িত ছিলেন।”
জঙ্গি দমন শাখা জানিয়েছে, “ধৃত আবদুল্লাহ, এই ঘটনায় জড়িত জাহাঙ্গির আলম, কৌসর আলম, ফারাজ শাহ সঙ্গে ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন এবং তিনি আল ফারুখি মাদ্রাসা ও মজজিদের কাজকর্মের সঙ্গে ও যুক্ত ছিলেন। আল ফারুখি মাদ্রাসা দিল্লির ইসলামিক দাওয়া কেন্দ্র পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই দুটি সংস্থার সঙ্গে আবদুল্লাহর বাবা উমার গৌতমও যুক্ত রয়েছেন।”
এখনও অবধি এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের লখনউয়ের এটিএস থানায় দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ধর্মগুরু উমর গৌতম, কলিম সিদ্দিকী সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেনব জঙ্গি দমন শাখার এক আধিকারিক। তিনি আরও জানিয়েছেন এই মামলাতে গ্রেফতার হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।
এটিএস জানিয়েছে, আবুদুল্লাহর ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখে তারা জানতে পেরেছে, যে বিদেশি উৎস থেকে তাঁর বাবা উমারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছিল সেই একই উৎস থেকে আবদুল্লাহর ব্যাঙ্কেও টাকা ঢুকেছে। বিবৃতিতে এটিএস জানিয়েছে, “বিভিন্ন উৎস থেকে আবদুল্লাহর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭৫ লক্ষ টাকা এসেছে তাঁর মধ্যে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা বিদেশ থেকে এসেছে। এই টাকা দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে তিনি ও তাঁর বাবা অনেকে ধর্মান্তকরণ করেছেন বলেই জানা গিয়েছে।” জানা গিয়েছে এই ধর্মান্তকরণ চক্রের ঘটনায়, উত্তর প্রদেশ ছাড়াও মহারাষ্ট্র, দিল্লির মত রাজ্যের অনেকেরই জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ মিলেছে। হাওয়ালা ও বেআইনি মাধ্যমকে ব্যবহার করে আমেরিকা, ব্রিটেন, গাল্ফের দেশ গুলি থেকে অর্থের জোগান এসেছে।