AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Delhi Air Pollution: চারদিন বাদে কমল ‘বিষে’র মাত্রা! এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসই গ্রহণ করতে হবে দিল্লিবাসীকে

Delhi Air Quality improves Slightly: সোমবার সকালে কিছুটা হলেও উন্নত হয় দিল্লির বাতাসের গুণমান। "বিপজ্জনক" পর্যায় থেকে তা নেমে দাঁড়ায় "অত্যন্ত খারাপ" পর্যায়ে।

Delhi Air Pollution: চারদিন বাদে কমল 'বিষে'র মাত্রা! এখনও 'অস্বাস্থ্যকর' বাতাসই গ্রহণ করতে হবে দিল্লিবাসীকে
এখনও ধোঁয়াশার চাদরেই ঢাকা থাকছে দিল্লির আকাশ। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 11:04 AM
Share

নয়া দিল্লি: একদিনের আনন্দের কারণে আরও কতদিন যে বিষ গ্রহণ করতে হবে দিল্লিবাসীকে, তার ঠিক নেই। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর ফলস্বরূপ ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছিল দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা (Delhi Air Pollution)। দীপাবলির চারদিন পর কিছুটা হলেও কমল বাতাসে “বিষে”র মাত্রা। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ও বায়ুর গুণমান পূর্বাভাস ও গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দিল্লিতে বায়ুর গুণ মান রয়েছে ৩৮৪-এ।

রবিবার অবধিও দিল্লি(Delhi)-র বাতাসের গুণমান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (Air Quality Index) “বিপজ্জনক” মাত্রাতেই ছিল। ৪২৮-র মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল এই গুণমান। পার্শ্ববর্তী গুরগাঁও, নয়ডা, গাজিয়াবাদ শহরেও দূষণে প্রাণ ওষ্ঠাগত বাসিন্দাদের। সবথেকে খারাপ বাতাস ছিল গুরগাঁওতে, সেখানে বাতাসের গুণমান ছিল ৪৬০। এরপরই গাজিয়াবাদে ৪৫৮, নয়ডায় ৪৫৫, ফরিদাবাদে বাতাসের গুণামানের মাত্রা ৪৪৯-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল।

সোমবার সকালে কিছুটা হলেও উন্নত হয় দিল্লির বাতাসের গুণমান। “বিপজ্জনক” (Severe) পর্যায় থেকে তা নেমে দাঁড়ায় “অত্যন্ত খারাপ” (Very Poor) পর্যায়ে। মূলত দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো ও মাইলের পর মাইল জুড়ে ক্ষেতে ফসলের অবশিষ্ট অংশগুলি পোড়ানোর কারণেই ব্যাপক হারে দূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
কেবল দিল্লিই নয়, প্রতিবেশী হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশেও এই বায়ু দূষণের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। রবিবারের তথ্য অনুযায়ী, তিন রাজ্যেই বাতাসের গুণমান খারাপ থেকে অতি খারাপের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
উল্লেখ্য, বায়ু মান সূচকের মান শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তাকে “ভাল” পর্যায়ে রাখা হয়, যা শ্বাস নেওয়ার পক্ষে ভাল। ৫১-১০০ হলে তা “মাঝারি” পর্যায়ে রাখা হয়। ১০১-১৫০ হলে তা খারাপ হিসাবেই গণ্য করা হয়। যাঁদের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের পক্ষে এই বাতাস অস্বাস্থ্যকর বলেই গণ্য করা হয়। বায়ু মান সূচক ১৫১-২০০ হলে তাকে “অস্বাস্থ্যকর” বা “খারাপ” পর্যায়ে রাখা হয়, যা সকলের পক্ষেই অস্বাস্থ্যকর। সূচক ২০১-৩০০ হলে, তাকে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসাবে গণ্য করা হয়। ৩০১-৫০০ হলে সেই বাতাসকে বিপজ্জনক হিসাবে গণ্য করা হয়।

১ জানুয়ারি অবধি দিল্লিতে বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই বিধিনেষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই দীপাবলির দিন দেদার বাজি পোড়ানো হয়েছে গোটা দিল্লি জুড়েই।  পরদিন সকাল থেকেই ধোঁয়াশার পুরু আস্তরণে আকাশ ঢাকা পড়েছে। কমেছে দৃশ্যমানতা। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, দীপাবলির পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মানের সূচকের গড় পৌঁছে গিয়েছিল ৪৬২ তে।

শনিবারও আকাশের অবস্থা একই ছিল। ভোর ৬টা নাগাদ বাতাসের গুণগত মানের হার ছিল ৫৩৩, যার ফলে “অতি ভয়ঙ্কর” পর্যায়ে পৌঁছেছে দিল্লির বাতাস। পার্শ্ববর্তী নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ ও গ্রেটার নয়ডায় বাতাসের গুণমান আরও খারাপ বলেই জানা গিয়েছে। আনন্দ বিহার ও ফরিদাবাদে বাতাসের গুণমান ৬০০-এ পৌঁছয়। রবিবারও প্রায় একই পরিস্থিতি ছিল দিল্লি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলির বাতাসের।

রবিবারই দিল্লি সরকারের তরফে জানানো, নাসার উপগ্রহের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে গত ১ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে ২১ হাজার ৬২৩টি জায়গায় খড়কুটো জ্বালানো হয়েছে। উত্তরের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ এটিই।

দিল্লিতে দূষণের মাত্রা হ্রাস করতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে ট্যাঙ্কারে করে জল ছেটানো হচ্ছে। জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে। সোমবার সিপিসিবির তরফে দিল্লিতে দূষণ নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। দিল্লির বাতাসকে দূষণমুক্ত করতে নতুন কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। বর্তমানে ডিজেল জেনারেটরে নিষেধাজ্ঞা ও পার্কিং ফি দুই থেকে তিনগুণ বাড়িয়ে দেওয়ার নিয়ম চালু রয়েছে।

আরও পড়ুন: Aryan Khan Drug Case: বাড়িতে থাকলেও এনসিবির সমন এড়ালেন আরিয়ান, কারণ জানালেন নিজেই