Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Abhijit Gangopadhyay: মমতার দফতর কেড়ে 356! অভিজিৎ গাঙ্গুলির যুক্তি ফুৎকারে ওড়ালেন Ex সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি

Abhijit Gangopadhyay: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "এই সরকারের আর কোনও নৈতিক অধিকার নেই, সরকার চালানো। আমরা ৩৫৬ ধারা নিয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। ৩৫৬ ধারা মানেই সরকারকে ফেলে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন নয়।"

Abhijit Gangopadhyay: মমতার দফতর কেড়ে 356! অভিজিৎ গাঙ্গুলির যুক্তি ফুৎকারে ওড়ালেন Ex সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি
বাংলায় ৩৫৬? Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2024 | 10:09 PM

কলকাতা: বাংলায় ৩৫৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৈঠক সদর্থক বলেও জানান তিনি। কিন্তু ৩৫৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন বিচারপতি যা বললেন, তা কার্যত সম্ভব নয় বলেই জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই চরম কটাক্ষ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। অভিজিতের বক্তব্য, ৩৫৬ অনুচ্ছেদ মানেই সরকারকে ফেলে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন নয়। কয়েকটি দফতরও কেড়ে নিয়ে চালানো সম্ভব।

বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই সরকারের আর কোনও নৈতিক অধিকার নেই, সরকার চালানো। আমরা ৩৫৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। ৩৫৬ অনুচ্ছেদ মানেই সরকারকে ফেলে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন নয়।” উদাহরণ দিয়ে তিনি বোঝান, “সরকারের কাছ থেকে কতগুলো দফতর নিয়ে নেওয়া যায়। যেমন ফিন্যান্স, কারণ গত ২ বছরে এই সরকার অডিটর জেনারেলের রিপোর্ট বিধানসভায় টেবিল করেনি, এটা সংবিধান বিরোধী। পুলিশকে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাচ্ছেন, বিশেষত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তাদের, সেক্ষেত্রে পুলিশ দফতরটা নিয়ে নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষা দফতর, স্বাস্থ্য দফতর তো নিয়ে নেওয়া যায়।”   এই নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করতে এসেছিলেন বলে জানান। তবে অভিজিৎ এটাও স্পষ্ট করেন, “তবে এটা বললেই তো করে ফেলা যায় না। এই নিয়ে আরও অনেক কাজ করতে হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, তাঁদেরকেও আহ্বান করব, তাঁরা যাতে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন।”

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এইভাবে কি আদৌ ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা যায়? প্রশ্ন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি ফোনে জানান, ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ মানে পুরো সরকারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া। এক্ষেত্রে কোনও দফতর আলাদা আলাদা করে করা সম্ভব নয়।

কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তো নব্য বিজেপি। ওঁ জানেন না, হয়তো আইনের বই বেশি পড়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে নতুন। উন্নাও, হথরসের পর কোন বিজেপি শাসিত রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি হয়েছিল?”