কলকাতা : বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিনই বাড়িতে গিয়ে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ওপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। সে দিনই মৃত্যু হয় অভিজিতের। ভোট পরবর্তী হিংসায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁর মৃত্যুর তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। কিন্তু সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত সঠিক পথে করছে না বলেই দাবি অভিজিতের পরিবারের। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে যে সব প্রভাবশালী লোকজন পরোক্ষভাবে জড়িত, তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। সেই দাবি নিয়েই এবার সিবিআই দফতরের সামনে অবস্থানে বসলেন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। পরে তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে আটক করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
বিচারের দাবিতে অনশনে বসেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ সরকার। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে বসেছেন তিনি। তাতে লেখা, বিচার চাই। অভিজিৎ সরকারের হত্যাকারীদের যাতে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয়, সেই দাবিও জানানো হয়েছে। বিধায়ক পরেশ পাল ও তৃণমূল কাউন্সিলরদের গ্রেফতার করতে হবে বলেও দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ। তাঁর দাবি, দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় যাঁরা খুন করিয়েছেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। মূলত তৃণমূল নেতা পরেশ পাল ও স্বপন সমাদ্দারের বিরুদ্ধেই বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ।
তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও এই একই অভিযোগ জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অভিজিৎ সরকার খুনের তদন্তে সম্প্রতি তদন্তকারী অফিসারকেও সরিয়ে দিয়েছে সিবিআই। অ্যাডিশনাল এসপি পদমর্যাদার একজন অফিসারকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে এই মামলার তদন্তের ভার ছিল ডিএসপি অজয় কুমারের উপর।
কখনও শিয়ালদহ আদালতে কখনও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে বিশ্বজিৎ সরকারকে। সিবিআই তদন্ত ভার নেওয়ার পর থেকেই এই ঘটনায় একাধিকবার অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কখনও বিশ্বজিতের বাড়িতে গিয়েছেন তাঁরা, কখনও সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছেন বিশ্বজিৎ নিজে। এবার সিবিআই-এর তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে তিনি।