কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের ২৬তম প্রতিষ্ঠা দিবসে (TMC Foundation Day) তপসিয়ায় দলের সদর দফতরের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। রবিবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানে নতুন ভবনের ভূমিপুজো করেন তিনি। অভিষেক বললেন, “আগে সামাজিক রেজোলিউশন, তারপর রাজনৈতিক রেজোলিউশন। রাজনীতি তো মাঠে ময়দানে আমরা করি। কিন্তু সব জিনিসে রাজনীতি ঢুকিয়ে দেওয়া কাম্য নয়। মানুষের কথা না ভেবে কীভাবে রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকা যায়, সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া কাম্য নয়। যাঁরা মানুষের দাবি-দাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে রাজনীতি করেন, প্রকৃত রাজনীতিবিদ তাঁরাই।”
সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসক-বিরোধী সব পক্ষই ইতিমধ্যে নিজেদের মতো করে রাজনীতির ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। এদিন অভিষেকের কথায় উঠে এল পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গও। বেশ আত্মবিশ্বাসী সুরেই বললেন, “পঞ্চায়েত ভোট যখন হওয়ার তখন হবে। পঞ্চায়েত ভোট যখনই হোক, সাংগঠনিকভাবে আমরা প্রস্তুত। রাজ্য সরকারের তরফ বা আমি দলীয় তরফে বার বার বলেছি, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হবে। মানুষ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মানুষ তো একুশের নির্বাচনেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।” সঙ্গে তিনি এও বলেন, “যেখানেই নির্বাচন হবে, আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মানুষের কাছে যাব। এটাই গণতন্ত্রেই ঐতিহ্য।”
পাশাপাশি একুশের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পরেও যে তৃণমূলের বিজয়-রথ থামিয়ে রাখা যায়নি, সেই কথাও এদিন স্মরণ করিয়ে দেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। বললেন, “যাঁরা বলছেন ভোট হলে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাবে, তাঁদের লজ্জায় মুখ ঢাকা উচিত। ক’টা কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করিয়েছে? শয়ে শয়ে কোম্পানি। আট দফায় ভোট করিয়েছে একমাত্র বাংলায়। তামিলনাড়ু, অসম থেকে শুরু করে সর্বত্র একদফায় ভোট হয়েছে। কেন? যাতে মানুষ ভোট দিতে পারে। মানুষ ভোটও দিয়েছে। পরে যখন ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে, তাও আমরা দেখেছি।”
বিরোধীরা যে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, এমন কথাও এদিন বলতে শোনা যায় অভিষেককে। বিরোধীদের উদ্দেশে অভিষেকের পরামর্শ, মানুষের দাবি-দাওয়া নিয়ে যেন তাঁরা নামেন। বললেন, “বিরোধীদের কাছে কোনও লক্ষ্য নেই, কর্মসূচি নেই, মানুষের জন্য কথা বলার মানসিকতা নেই। কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা যায়, বাংলার মানুষকে ছোট করা যায়, পেটে মারা যায়, বাংলার প্রতি বঞ্চনা করে বাংলার মানুষকে অসম্মানিত করার নির্লজ্জ রাজনীতি যাঁরা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়াবেন।”