কলকাতা: লোকসভা ভোটের মুখে এবার রাজ্যের তফসিলি জাতি ও উপজাতি ভোটব্যাঙ্কের উপর নজর শাসক দলের। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে তফসিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার চালানো হবে। প্রচারের মূল অভিমুখ হল দু’টি। একদিকে যেমন তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের উপর বিজেপির অত্যাচারের অভিযোগ তুলে ধরা হবে। অন্যদিকে তফসিলি জাতি ও উপজাতির জন্য মমতার সরকার কী কী জনমুখী কর্মসূচি নিয়েছে, সেগুলি তুলে ধরা হবে। এই প্রচার অভিযানের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘তফসিলির সংলাপ’। আগামী ১৫ মার্চ থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে এই কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই তফসিলি জাতি, উপজাতির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নজরুল মঞ্চের ওই বৈঠক থেকেই তৈরি হয় ‘তফসিলির সংলাপ’ প্রচার অভিযানের নীল নকশা। রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসঊভা কেন্দ্র থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার তফসিলি জাতি-উপজাতির নেতা অংশ নিয়েছিলেন এদিনের বৈঠকে। নজরুল মঞ্চের ওই বৈঠকে আজ তফসিলি নেতাদের কাছে গোটা কর্মসূচির খুঁটিনাটি বিষয় বিশদে তুলে ধরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নজরুল মঞ্চে এদিন দলীয় সভার কিছু ছবি এদিন বিকেলে নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে শেয়ার করে অভিষেক লিখেছেন, ‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস শুধু বাংলার নয়, সারা ভারতবর্ষের তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত ভাই-বোনেদের প্রতি কৃতঘ্ন বিজেপির মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও বিদ্বেষের বাস্তব রূপ এবং তাদের নৃশংসতা তুলে ধরবে। পাশাপাশি, রাজ্যের তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মানুষদের প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের অপরিমেয় প্রতিপোষণ, তাঁদের আমৃত্যু রক্ষা করার অঙ্গীকার এবং তাঁদের সুনিশ্চিত উন্নয়নকেও তুলে ধরবে।’
তৃণমূলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই তফিসিলির সংলাপ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্য়ের প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি জায়গা পরিদর্শন করবেন তৃণমূলের তফসিলি জাতি ও উপজাতির নেতারা। প্রত্যেক এলাকায় নেতারা অন্তত ৩-৫টি হটস্পটে আলোচনাসভার আয়োজন করবেন। এভাবে মোট ২৫ হাজারের বেশি ছোট ছোট সভার আয়োজন হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে।