শালবনি: ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisekh Banerjee) কনভয়। আচমকা সেখানে শুরু হল তুমুল কুড়মি বিক্ষোভ (Kurmi Protest)। লাঠির ঘা পড়ল অভিষেকের কনভয়ের গাড়িতে। কনভয়ের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। কুড়মিদের ছোড়া ঢিলে তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। এদিন সন্ধ্যায় গড় শালবনি এলাকায় দেখা গেল কুড়মিদের এই তুমুল বিক্ষোভের ছবি। ওই কনভয়ের সঙ্গে যে সমস্ত তৃণমূল কর্মীরা ছিলেন তাঁদের উপরেও হামলা হয় বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, ওই রাস্তা দিয়ে যে অভিষেকের কনভয় যাবে তা আগে থেকেই ঠিক ছিল। সেই মতো জায়গায় জায়গায় ছিল পুলিশি নিরাপত্তা। কিন্তু, কনভয় আসার অনেক আগে থেকেই কুড়মিরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে শুরু করেন। রাস্তায় বসে পড়েন। পুলিশ শত চেষ্টা করেও তাদের তুলতে পারেনি বলে খবর। এরমধ্যে এলাকায় এসে পড়ে অভিষেকের কনভয়। আটকে যায় পুলিশের গাড়ি। তখন সবে সন্ধ্যা নামছে। এরপর যত সময় গড়িয়েছে, যতই বেড়েছে অন্ধকার, ততই বেড়েছে উত্তেজনা, তেজ বেড়েছে ক্ষোভের আগুনের।
শনিবার শালবনি যাওয়ার কথা রয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ দেওযার কথা রয়েছে নবজোয়ার কর্মসূচিতে। মেদিনীপুরের মাটিতে থাকছেন খোদ অভিষেকও। তার আগে এ ঘটনা ঘটায় স্বভাবতই ব্যাপক চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, শালবনির বিক্ষুব্ধ কুড়মিদের মূল ক্ষোভ মূলত বাঁকুড়ায় করা অভিষেকের মন্তব্যে। সেখানে অভিষেক বলেছিলেন, কুড়মিরা শাসক তৃণমূলকে ভোট দেয় না। ভোট দিলে পুরুলিয়ায় ২ লক্ষের বেশি ভোটে হারত না তৃণমূল। সূত্রের খবর, এই মন্তব্যের জেরে কয়েকদিন ধরে ক্ষোভে ফুঁসছে কুড়মিরা। এদিন অভিষেকের সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যদিও কুড়মিরা যতক্ষণে আসেন, ততক্ষণে বেরিয়ে গিয়েছে অভিষেকের গাড়ি। তবে তাঁর কনভয়ের সঙ্গে থাকা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ঢিল পড়ে কাচ ভেঙে যায়।