কলকাতা: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল ঠিক সময় সময় ট্রেনে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের একবার নড়েচড়ে বসল রেল। মহিলা কামরায় যাতে কোনও পুরুষ যাত্রী উঠতে না পারেন সেই বিষয়টির উপরেও নতুন করে জোর দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে কোমর বাঁধছে রেল পুলিশ। পূর্র রেল জানাচ্ছে, শুধু মাত্র গত অগস্ট মাসেই ভারতীয় রেলওয়ে আইনের ১৬২ ধারায় মোট ১,৭৭৪ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। হয়েছে মামলা। একইসঙ্গে ৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকারও বেশি জরিমানা করা হয়েছে। লাগাতার নজরদারি, কড়া নিরাপত্তার কারণেই অপরাধীদের ধরা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি রেলের।
মূলত কোন কোন ক্ষেত্রগুলিতে কড়া নজরদারি ব্যবস্থা করা হয়েছে?
পূর্ব রেল বলছে ১২টি মহিলা ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন-সহ ৩৩৯টি ট্রেনে নিয়মিত নজর রাখছেন আরপিএফ জওয়ানরা। পাশাপাশি ৭৪টি এক্সপ্রেস ট্রেনে পুরুষ ও মহিলা আরপিএফ কর্মীরা যৌথভাবে নজর রাখছেন। পাশাপাশি ১৭০ টি স্টেশনে মোট ৩,৮৯৪ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য আরপিএফ নিজে ৮৭টি স্টেশনে ২,২৬৫ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে।
চলছে প্রচার
একইসঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে জোর দেওয়া হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচারেও। সুরক্ষা প্রোটোকল এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে স্টেশনে স্টেশনে, ট্রেনে এবং স্কুল ও কলেজে চলছে প্রচারে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে রেল। একইসঙ্গে মহিলাদের সাহায্যের জন্য ১৫টি স্টেশনে ‘মেরি সহেলি’ দল মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে নামনো হয়েছে মাতঙ্গিনী স্কোয়াডকেও। শহরতলির প্রায় ২৫ স্টেশনে মোতায়েন থাকছে মাতঙ্গিনী স্কোয়াড। পাশাপাশি শিশু পাচার সহ যে কোনও ধরনের মানব পাচার রোধে বিশেষভাবে চলছে কাজ। অপারেশন এএএইচটি (মানব পাচার রোধ)-এর অঙ্গ হিসেবে শিয়ালদহ, হাওড়া, মালদা টাউন এবং আসানসোলের আরপিএফ পোস্টগুলিতে ৭১টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।