কলকাতা : বিসি রায় শিশু হাসপাতালে (BC Roy Children’s Hospital) ফের মৃত্যু শিশুর। মৃত শিশুটির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। সূত্রের খবর, বিগত কয়েকদিন ধরে জ্বর,সর্দি, কাশি থাকায়, অনাথ সিং এবং অষ্টমী সিং তাঁদের এক বছর তিন মাসের শিশুকে প্রথমে ভর্তি করেন ক্যানিংয়ের একটি স্থানীয় হাসপাতালে। এরপর গত ১৮ তারিখ, তাঁকে কলকাতার ফুল বাগানে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, তারপর থেকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে পারে বলে খবর। ১৯ তারিখ অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ মৃত্যু হয় তার।
চিকিৎকরাও জানাচ্ছেন জ্বর, সর্দি কাশি-সহ শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল শিশুটির। টেস্টে জানা যায় তার শরীরে থাবা বসিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus)। এ কথা জানানো হয় শিশুটির পরিবারকেও। তবে চিকিৎসা চলতে চলতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে গোটা রাজ্যেই ক্রমে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রন্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে। গতকাল রাত থেকে এদিন দুপুর পর্যন্ত বিসি রায় শিশু হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে তিনজন শিশুর। আর তাতেই আরও বেড়েছে উদ্বেগ। অন্যদিকে রাজ্যের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলিতেও শিশু ভর্তির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছেন রোগীর পরিজনরা। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাবা-মায়েরা। উঠেছে পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন। এই প্রেক্ষিতে বিসি রায় শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, তাঁদের এখানে যে পরিমাণ শিশু ভর্তি রয়েছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে সেই সংখ্যাটা খুবই বেশি। যে কারণে তাঁরা না চেয়েও অনেক সময় একটি বেডে একাধিক শিশুকে ভর্তি রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। একইসঙ্গে রেফার সিস্টেম নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রেফারেল সিস্টেমের বাইরে থাকা অনেক মেডিকেল কলেজ, অনেক সরকারি হাসপাতাল যেখানে শিশু রোগের চিকিৎসার পরিকাঠামো রয়েছে, তা সত্বেও কোনও কাগজ ছাড়া মৌখিক নির্দেশ জারি করে বহু অসুস্থ শিশুকে সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। তাঁর ফলে এখানে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।