কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এর আগে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। কিন্তু সেই জরিমানার টাকা না মেটানোর কারণে, তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ মানিক ভট্টাচার্য। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করলেন মানিক। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির দাবি, বেআইনিভাবে তাঁকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমনকী তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও বেআইনি বলে দাবি মানিকের। এমন অবস্থায় সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করলেন মানিক ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, এর সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ মানিক ভট্টাচার্যের জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। দেশ বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি রয়েছে, সেই সব বাজেয়াপ্ত করার জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে মানিক ভট্টাচার্য এবার সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন।
উল্লেখ্য, হাইকোর্ট দুটি মামলায় দুই দফায় মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা করেছিল। প্রথমে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল একটি মামলায়, পরে আবার অপর একটি মামলায় মানিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ৭ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মানিককে। প্রথম জরিমানার নির্দেশ এসেছিল মায়ারানি পাল নামে এক চাকরিপ্রার্থীর করা মামলায়। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটে বসেছিলেন তিনি, কিন্তু ছয় বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও ফল জানতে পারেননি।
পরের জরিমানা হয়েছিল সহিলা পারভিন নামে এক টেট পরীক্ষার্থীর মামলায়। তিনি ২০১৭ সালে টেট দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, তিনি তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় তাঁর ওএমআর শিট চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু যথাযথ ওএমআর শিট তিনি পাননি।