কলকাতা : প্রথম যখন সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসে, তখন পরপর একাধিক তৃণমূল নেতা- মন্ত্রীর নাম সামনে এসেছিল। চিটফান্ড সংস্থার টাকা কার হাতে যেত, সেই সূত্র খুঁজতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হন বিধায়ক মদন মিত্র। একাধিক নেতা- মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তবে শুক্রবার সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, শুভেন্দুর সঙ্গে আর কে কে টাকা নিয়েছিলেন, সেটা শুভেন্দুই বলবেন।
শনিবার সাংবাদিকদের মুথোমুখি হয়ে অধীর চৌধুরী দাবি করেন, শুভেন্দু সেই সময় তৃণমূলে ছিলেন, আর শাসক দলের অনেকেই টাকা নিয়েছিলেন সারদা থেকে। তিনি বলেন, ‘সবথেকে বড় কথা দিদি কালিম্পং-এ বসে যে সভা করেছিলেন সে কথা কেন বললেন না সুদীপ্ত সেন? ডেলো পাহাড়ের ঢালে বসে যে চুক্তি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তার কথা বললে খুশি হতাম।’ অধীরের দাবি, প্রায় সব তৃণমূল নেতাই ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িত। কিন্তু সম্ভবত সুদীপ্ত সেনের জামিন পাওয়ার সময় হয়েছে, তাই একদলকে বাঁচিয়ে আর এক দলের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করেন অধীর।
অধীর চৌধুরী চান, সব চোরকে ধরা পড়ুক। টাকা একা শুভেন্দু খেয়েছেন না কি আরও অনেকে- সেটা শুভেন্দুকে বলতে হবে বলেও দাবি করেন অধীর। তাঁর কথায়, ‘দিদি জানত না ভাই চুরি করেছে! দিদিমণি জানতেন না দাদামণি চুরি করেছে! এটা দিদিমণির ব্যর্থতা।’
শুক্রবার বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে থেকে বেরনোর সময় চিটফান্ড দুর্নীতিতে ধৃত সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন। তাঁকে ব্ল্যাকমেলও করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর এড়িয়ে যান শুভেন্দু।