Patient falls from Hospital: কার্নিশে রোগী, নীচে দমকল, DMG, তাও কেন এমন মর্মান্তিক ঘটনা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jun 25, 2022 | 3:56 PM

Patient jumps from Hospital: এ ক্ষেত্রে দুপুর ১ টা ৫ মিনিট নাগাদ আট তলার কার্নিশ থেকে পড়ে যান রোগী। ঘটনার ঠিক পাঁচ মিনিট আগেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় জাল। অথচ ওই রোগী যখন হাসপাতালের আট তলার কার্নিশে উঠে যান, তার প্রায় কিছু সময় পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

Patient falls from Hospital: কার্নিশে রোগী, নীচে দমকল, DMG, তাও কেন এমন মর্মান্তিক ঘটনা?
হাসপাতালের আট তলার কার্নিশ থেকে ঝুলছেন রোগী

Follow Us

কলকাতা : ভরদুপুরে মর্মান্তিক এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে শহর কলকাতায়। মল্লিক বাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালের আট তলার কার্নিশ থেকে পড়ে গিয়েছেন এক রোগী। ধাক্কা খেতে খেতে নীচে গিয়ে পড়েছেন। বেলা প্রায় সাড়ে ১০ টা নাগাদ হাসপাতালের জানালা দিয়ে বেরিয়ে কার্নিশে চলে গিয়েছিলেন রোগী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন পুলিশ, দমকলকর্মী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। কিন্তু তারপরও উদ্ধার করা গেল না রোগীকে। আট তলা থেকে ধাক্কা খেতে খেতে নীচে গিয়ে পড়লেন তিনি। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে স্ট্রেচারে শুইয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনার পর থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, পুলিশ থাকার পরেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের প্রাক্তন আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, যখন এমন কোনও খবর যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কাছে, (এক্ষেত্রে বিপজ্জনক অবস্থায় আট তলার কার্নিশে ছিলেন ওই রোগী) সেখানে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হয়। একাধিক জাল, পর্যাপ্ত লোকবল নিয়েই সেখানে থাকা উচিত।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুপুর ১ টা ৫ মিনিট নাগাদ আট তলার কার্নিশ থেকে পড়ে যান রোগী। ঘটনার ঠিক পাঁচ মিনিট আগেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় জাল। অথচ ওই রোগী যখন হাসপাতালের আট তলার কার্নিশে উঠে যান, তার প্রায় কিছু সময় পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দল। কেন এতটা সময় লেগে গেল জাল আনার জন্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। প্রশ্ন উঠছে, আড়াই ঘণ্টা পরেও কেন জাল পাতা গেল না?

মল্লিক বাজার থেকে দমকল বা বিপর্যয় মোকাবিলা দলের অফিসের দূরত্ব খুব বেশি নয়। তারপরও কেন এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

যে যে প্রশ্নগুলি উঠে আসছে –

  • দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিল দলের কি প্রস্তুতির অভাব ছিল?
  • আড়াই ঘণ্টা পরেও কেন জাল পাতা গেল না?
  • হাসপাতালের সব তলায় কেন পৌঁছতে পারল না উদ্ধারকারী দল?
  • কেন কেউ তাঁকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেন না?
  • পরিস্থিতি মোকাবিলায় কি কোনও বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না?
  • পুরো ঘটনার জন্য দায় কি এড়াতে পারে হাসপাতাল?

এই বিষয়ে প্রাক্তন পুলিশকর্তা অনিল জানা বলেন, “দমকল বা বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে বললেই তো হয়। নীচে একটা নেট টাঙিয়ে দিলেই হত। এগুলি হল, আমাদের দায়িত্বজ্ঞান নেই, চাকরি করি, আসি-যাই, মাইনে পাই… এখন যাঁরা কাজে ঢোকে, তাঁরা তো যোগ্যতার বিচারে ঢোকে না। রাজনৈতিক প্রভাব দেখে ভর্তি হয়। দমকলে তো কারা ঢুকেছে দেখুন না… চুক্তিভিত্তিক না কী… অপদার্থদের দিয়ে চালালে এই অবস্থাই হবে।”

রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এই বিষয়ে বলেন, “মল্লিকবাজারে একটি ঘটনা ঘটেছে। যিনি রোগী, তিনিও আমাদের এলাকারই বাসিন্দা। কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রীও অসুস্থ ছিলেন, সেই সময় চিকিৎসার জন্য আমিও সহযোগিতা করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাঁর স্ত্রী বিয়োগ হয়। মানসিকভাবে তাঁর কিছু সমস্যা ছিল। তিনি মল্লিকবাজারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আমি টিভিতে দেখি, কন্ট্রোল থেকে ফোনও পাই। দমকল সেখানে চেষ্টাও করে। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলও ছিল। আমরা সবরকমভাবে চেষ্টাও করেছিলাম। ডিএমজি জাল নিয়ে পৌঁছেও গিয়েছিল।” জাল নিয়ে যেতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এগুলি তো সঙ্গে সঙ্গে তৈরি থাকে না। জিনিসটা আনতে সময় লাগে। দমকল ও ডিএমজি উভয়ই চেষ্টা করেছে।”

Next Article