কলকাতা: নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে, চার পুরনিগমের ফল প্রকাশ্যে আসার পর এমনটাই বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর মতে, ভোট মানে এখন লুঠ। বাংলায় গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, এখন যেটা হয়, সেটা ভোটের নামে প্রহসন। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছি ভোটটা যেন শান্তিপূর্ণ হয়।’ তাঁর কথায়, বারবার যদি গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হয়, তাহলে প্রত্যেকবার প্রলেপ দেওয়া সম্ভব হবে না। সোমবার রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে। কার্যত ধরাশায়ী বিরোধীরা। কোনও পুরনিগমেই ভালো ফল করতে পারেনি কোনও বিরোধী দল। শিলিগুড়িতেও এই প্রথম বোর্ড গঠন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফল প্রকাশের পরই ভোটের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধীর।
এ দিন তিনি বলেন, ‘আমরাও একসময় ভোট করেছি।’ সেই সময়ের কথা মনে করে অধীর চৌধুরী জানান, সেই সময় প্রার্থী জিতলে, যারা কাজ করেছে তাঁদের ডেকে খাওয়াতেন, তার মধ্যে একটা আনন্দ ছিল। কিন্তু অধীরের কথায়, আজ ভোট মানে শাসক দলের কর্মীদের পেট ভর্তি মদ – মাংস খাওয়ানো হয়, ডিজে চালাতে হয় বিনোদনের জন্য।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মতে, চার পুরনিগমের এই যে ফলাফল সামনে এসেছে, তাতে মানুষের মতামতের প্রতিফলন নেই। বরং সন্ত্রাসের প্রতিফল হয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, ভোট হয়নি, শুধুই লুঠপাট হয়েছে। তবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় ভোট রয়েছে, সে কথা উল্লেখ করেই কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছি ভোটটা যেন শান্তিপূর্ণ হয়।’ অধীর প্রশ্ন তোলেন সারা দেশেই পুরভোট হয়, কিন্তু কখনও শোনা যায় না কোথাও বুথ লুঠ হয়েছে। প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে, এমনটাও শোনা যায় না বলেই দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন : ‘আর্শীবাদ স্বরূপ’ সব্যসাচীর স্ত্রীকে দেওয়া শাড়িটা আসলে কার? কালীঘাটের বাড়িতে আজ অন্য মুডে মমতা
আরও পড়ুন : তৃণমূলের প্রতীক ছাড়া দাঁড়িয়ে কী ফল হয়েছিল সবাই দেখেছে! সুজিতের নিশানায় সেই সব্যসাচী