Bidhannagar Municipal Election: সব্যসাচী-জায়াকে দেখেই ট্রেড মিলে ব্যস্ত মমতা বললেন, ‘লতা, ওকে একটা শাড়ি দাও’
Bidhannagar Municipal Election: সেসময় লতা ঘরে চলে যান। ঘর থেকে একটি শাড়ি এনে দেন সব্যসাচীর স্ত্রী ইন্দ্রানীর হাতে।
কলকাতা: তাঁর কথায়, ‘একটা ভুল করেছিলাম, এখন শুধরে নিয়েছি।’ আর তার রেজাল্ট ধরা পড়েছে বিধাননগর পুরভোটের ফলেই। গেরুয়া-সঙ্গ ত্যাগ করে সবুজ আবিরে নিজের ‘শুদ্ধিকরণ’ করলেন সব্যসাচী দত্ত। আর ফলপ্রকাশের পরই সস্ত্রীক হাজির হলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে এগারোটা। সস্ত্রীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছলেন সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগরে আকাশ বাতাসে তখন সবুজ আবিরের ঝড়। দিকে দিকে উঠছে জয়ধ্বনি।
সুপ্রিমোকে তখন দেখা গেল এক্কেবারে অন্য মুডে। নিজের বাড়িতে একেবারেই সাধারণ শাড়িতে ট্রেড মিলে ব্যস্ত নেত্রী। সব্যসাচীকে দেখতেই হাসলেন নেত্রী। কয়েকটা একান্ত আলাপচারিতা। সস্ত্রীক নেত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন সব্যসাচী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই পাশে দাঁড়িয়ে তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা, পাশে ছিলেন কাজরীও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাকে বলেন, “ইন্দ্রানীকে একটা শাড়ি দাও।” সেসময় লতা ঘরে চলে যান। ঘর থেকে একটি শাড়ি এনে দেন সব্যসাচীর স্ত্রী ইন্দ্রানীর হাতে।
মিনিট কুড়ি নেত্রীর বাড়িতে ছিলেন সব্যসাচী। বেলা ১১.৪৩ মিনিটে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। বেরিয়ে ইন্দ্রানী সাংবাদিকদের সেই শাড়ি দেখান। জানান, শাড়িটা তাঁকে ‘দিদি’ দিয়েছেন। সব্যসাচী বলেন, “জয়ের পর নেত্রীর আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলাম। দিদি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছেন, আজ ভ্যালেন্টাইন’স ডে, ও তোমাকে কী দিয়েছে? স্ত্রী জবাবে জানিয়েছেন, কিছুই না। তখন লতাদি’কে বলে একটি শাড়ি আনিয়ে স্ত্রীকে দিয়েছেন। আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।”
এরপর হেঁটেই অভিষেকের বাড়িতে যান তিনি। সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন স্ত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেই উপহার চান ইন্দ্রানী। তিনি অভিষেককে বলেন, “দিদি আমায় উপহার দিয়েছেন। তুমি দেবে না।” অভিষেক বলেন, “পরে দেব। ভাল গিফট।” আর প্রত্যুত্তরে ইন্দ্রানী অভিষেককে বলেন, “তুমি আরও সুন্দর দেখতে হয়েছো।” অভিষেকের সঙ্গে সব্যসাচীকে ভিক্ট্রি সাইন দেখিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা যায়।