Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: ‘১ কোটি দিলেও ভোট দেবে না, এদের মাথায় ঢোকানো আছে…’, ‘ওদের’ বাদ দিয়েও জেতার ছক বললেন শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: তৃণমূলের নাম না নিয়েও আক্রমণের ধার বাড়াতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। টেনে আনেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গও। নাম না করেই মমতাকে খোঁচা দিয়েই বলেন, “কী দেখাচ্ছেন সংখ্যা গরিষ্ঠতার কথা! বুদ্ধবাবুও বলতো আমি ২৩৫ ওরা ৩০। আপনি তো এখনও ২৩৫ যাননি, এত দম্ভ ভাল না!”

Suvendu Adhikari: ‘১ কোটি দিলেও ভোট দেবে না, এদের মাথায় ঢোকানো আছে…’, ‘ওদের’ বাদ দিয়েও জেতার ছক বললেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2025 | 8:18 PM

বারুইপুর: ‘১ কোটি টাকা বাড়ি প্রতি দিলেও ভোট দেবে না। এদের মাথায় ঢোকানো আছে।’ বারুইপুর থেকে এদিন এ ভাষাতেই গর্জে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, সামনেই বিধানসভা ভোট যে হিন্দুত্ববাদের লাইনে হেঁটে বাজিমাত করতে চাইছে পদ্ম শিবির তা তাঁদের সাম্প্রতিক কর্মসূচিগুলি থেকেই স্পষ্ট। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশ। ইতিমধ্যেই রাজ্যব্যাপী এই লাইনে প্রচারে ঝড়ও তুলে ফেলেছে বিজেপি। ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই, ছাব্বিশে বিজেপি সরকার চাই’, এই মর্মে পোস্টার পড়েছে জেলায় জেলায়। এরইমধ্যে রাম নবমীকে কেন্দ্র করে বিজেপির উন্মাদনার অন্ত নেই। এই তো ক’দিন আগে রামনবমীতে ১ কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এদিনই বারুইপুরের কর্মসূচি থেকে ফের হিন্দুদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। বাতলে দিলেন ভোটের রণকৌশলও। যা ভোটের আবহে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

এদিন সভা থেকে শুভেন্দু স্পষ্টতই বলেন, “মগরাহাটে আইএসএফ সিপিএমের বাড়ি ভেঙেছে পঞ্চায়েতের পরে। আমি গিয়েছি রিলিফ নিয়ে। আমি জানি ভোট দেবে না। ১ কোটি টাকা বাড়ি প্রতি দিলেও ভোট দেবে না। এদের মাথায় ঢোকানো আছে।” এখানেই না থেমে খানিক ক্ষোভের সুরেই বলেন, “এরা রেশন নেবে মোদীজির, শৌচালয় নেবে, ভ্যাকসিন নেবে মোদীজির, ঘরও নেবে! বলবে ওটা অধিকার। আর ভোটের সময় বলবে বিজেপি হিন্দুদের দল। হ্যাঁ, ভারত তো হিন্দুস্তান, জয় হিন্দ বলি। ভারতের তিনটে নাম, ভারত, ইন্ডিয়া, ইন্দুস্তান।” 

এখানেই না থেমে তৃণমূলের নাম না নিয়েও আক্রমণের ধার বাড়াতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। টেনে আনেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গও। নাম না করেই মমতাকে খোঁচা দিয়েই বলেন, “কী দেখাচ্ছেন সংখ্যা গরিষ্ঠতার কথা! বুদ্ধবাবুও বলতো আমি ২৩৫ ওরা ৩০। আপনি তো এখনও ২৩৫ যাননি, এত দম্ভ ভাল না!” এরপরই সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “পরিবেশ আমরা তৈরি করে দেব। নিশ্চিন্ত থাকুন। যাঁদের কে জেলে দেখতে চান তাঁদের জেলেই দেখতে পাবেন।”

এখানেই শেষ নয়, সনাতনী হিন্দুদের ভোটের ময়দানে ফেরাতেও এদিন বারবার আহ্বান জানান শুভেন্দু। সুকৌশলে বলে দেন ভোটের ময়দানে বাজিমাতের কৌশলও। শুভেন্দুর সাফ কথা, “আমাদের এক থাকতে হবে।আমরা হিন্দু এবং জনজাতির চল্লিশ শতাংশ ভোট ভোট পাচ্ছি। আপনারা যাঁরা হিন্দুরা ভোট যেতে যান না, তাঁরা দয়া করে বাড়ি থেকে বের হন। এ লড়াই বাঁচার লড়াই।” এখানেই না থেমে তাঁর আরও সংযোজন, “এ লড়াই জিততে হবে। বাংলাদেশ দেখছেন তো! বাংলাদেশ দেখার পর ভোট নষ্ট করবেন তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসকে দিয়ে? আমি আশা করি সনাতনীরা এটা করবেন না। ৮-১০ শতাংশ সনাতনী হিন্দু ভোটার যদি বেরিয়ে এসে ভোটটা দেন তাহলে আমরা উড়িয়ে দেব। তারপরেই উত্তর প্রদেশের মতো শৃঙ্খলা, সংস্কার, সুশাসন, সুরক্ষা, গুজরাটের মতো শিল্প-কর্মসংস্থান, অসমের মতো রোহিঙ্গা ধরো ওপারে ফেলো।”