Belgachia: ‘গরু-ছাগল নাকি!’, ৪০ ডিগ্রিতে ১০ ফুট/২০ ফুটের এই কন্টেনারই এখন বেলগাছিয়ার মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই
Belgachia: ভিতরে নেই কোনও পাখা, আলো। বিদ্যুতের ব্যবস্থাই নেই। তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে দুপুর রোদে ওই কন্টেনারে থাকা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সুব্রত বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও সুমন মহাপাত্রের রিপোর্ট
বেলগাছিয়া: সাতদিনে বেশি সময় কেটে গিয়েছে। হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ভাগাড় সংলগ্ন অঞ্চলের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। জলসঙ্কট দিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। পরে রাস্তায়, ঘরে যেভাবে ধস নেমেছে তাতে রাস্তায় ঠাঁই হয়েছে মানুষের বেড়েছে বিক্ষোভ। অবশেষে তাঁদের জন্য সংস্থানের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।
ঘটনাস্থলের কাছে এদিন দেখা গেল পরপর রাখা আছে কয়েকটি কন্টেনার। কন্টেনারগুলি টিনের। ভিতরে প্রাইমার লাগানো হচ্ছে। একেকটি কন্টেনারের পরিসর ১০ ফুট বাই ২০ ফুট। সেই পরিসরেই ১০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গৃহহীনদের জন্য এটাই আপাতত থাকার ব্যবস্থা। এছাড়া কন্টেনারগুলির দু’দিকে মোট ৮ টি করে জানালা তৈরির কাজ চলছে।
ভিতরে নেই কোনও পাখা, আলো। বিদ্যুতের ব্যবস্থাই নেই। তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে দুপুর রোদে ওই কন্টেনারে থাকা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। এক মহিলা বলেন, “অসুবিধা তো হবেই। রোদের মধ্যে গরু-ছাগলের মতো থাকতে হবে।”
খিদিরপুর থেকে আনা হয়েছে লোহার কন্টেনারগুলো। ৭টি কন্টেনার সম্পূর্ণ তৈরি হতে বৃহস্পতিবার সারারাত সময় লাগতে পারে। প্রবল গরমে টিনের কন্টেনারে রাত কাটানো কার্যত অসম্ভব, দুপুরবেলা তো কন্টেনারগুলো যেন ‘আগ্নেয়গিরি’র মতো অবস্থা হচ্ছে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেই এই লোহার খাঁচায় মানুষকে বন্দি করা হয়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামিদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে, লু বইবে। তাই পুরসভা ও প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।





