Fixed Deposit in Banks: ব্যাঙ্কে ৫ লক্ষ টাকার বেশি রেখেছেন? খুব সাবধান! খোয়া যেতে পারে অনেকটাই…
Banking: বর্তমান ব্যাঙ্কিং পরিকাঠামোয় মানুষ সরকারি ও বেসরকারি দু'ধরনের ব্যাঙ্কেই সমান ভরসা রাখতে পারে। কিন্তু কোনও ব্যাঙ্কেই একসঙ্গে ৫ লক্ষ টাকার বেশি রাখা উচিত নয়।

অনেক মানুষই বিনিয়োগের প্রাথমিক মাধ্যম হিসাবে ফিক্সড ডিপোজিটের কথা ভাবেন। এফডির উপর সাধারণ মানুষের ভরসা আসলে অনেকটা বেশি। শেয়ার বাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখলে তা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ হিসাবে গণ্য হয়। আর সেই ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচতেই মধ্যবিত্ত মানুষ ফিক্সড ডিপোজিটকে ভরসা করেন অন্ধের মতো।
কথায় বলে, অন্ধের মতো কোনও কিছুকেই বিশ্বাস করা একদম ঠিক নয়। আর সেই কথা মাথায় রাখলে ফিক্সড ডিপোজিটকেও অন্ধের মতো বিশ্বাস করা একদম ঠিক নয়। মানুষ এখনও ব্যাঙ্কিং সার্ভিস নেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককেই সবচেয়ে বেশি ভরসা করে। আর সেই ভরসার জায়গা থেকেই মানুষ ব্যাঙ্কে লক্ষ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করে ফেলে।
তবে, বর্তমান ব্যাঙ্কিং পরিকাঠামোয় মানুষ সরকারি ও বেসরকারি দু’ধরনের ব্যাঙ্কেই সমান ভরসা রাখতে পারে। কিন্তু কোনও ব্যাঙ্কেই একসঙ্গে ৫ লক্ষ টাকার বেশি রাখা উচিত নয়। ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন বা DICGC ব্যাঙ্কে ডিপোজিটের উপর ইন্সিওরেন্স দিয়ে থাকে। অর্থাৎ, কোনও কারণে ব্যাঙ্ক যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে ডিপোজিটের উপর সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা ইন্সিওরেন্স পাওয়া যায়। ফলে, ব্যাঙ্কে ডিপোজিটের অঙ্ক ৫ লক্ষের বেশি হলে বিমাকৃত ৫ লক্ষ টাকাই পাওয়া যায়।
কোনও বিনিয়োগকারী যদি ব্যাঙ্কে ৫ লক্ষের বেশি ফিক্সড ডিপোজিট বা রেকারিং ডিপোজিট করে তা বিমার আওতার বাইরে থাকবে। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের কোনও আর্থিক ক্ষতির কারণে ব্যাঙ্ক টাকা ফেরত দিতে অপারগ হলে ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন ওই টাকা ফেরত দেয়। আর সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত পাওয়া যায়।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।





