Amit Shah on Bengal: জমি দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ, দশবার ধরে বলেছি: শাহ
Amit Shah on Bengal: বাংলাদেশের পালাবদলের পর থেকেই নতুন করে বেড়েছে অনুপ্রবেশের ঘটনা। মূলত, সেদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদকে ঘিরেই বাংলাকে ট্রানজিট রুট করে বহু অনুপ্রবেশকারীই চলে আসছে এই পাড়ে।

নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাস হয়ে গেল ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনারস বিল’ বা অভিবাসন বিল। এদিন নতুন বিল নিয়ে আলোচনায় অমিত শাহ বলেন, ‘কারা সীমানা পার করে এই দেশে ঢুকছেন, তা জানাটা অত্যন্ত জরুরি। দেশের জাতীয় নিরাপত্তারই একটা অংশ। এমনকি, যদি কোনও ব্যক্তিকে দেশের জাতীয় সুরক্ষার জন্য হুমকি বলে মনে হলে, তাকে কোনও মতেই দেশে প্রবেশাধিকার দেওয়া উচিত নয়।’
বাংলাদেশের পালাবদলের পর থেকেই নতুন করে বেড়েছে অনুপ্রবেশের ঘটনা। মূলত, সেদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদকে ঘিরেই বাংলাকে ট্রানজিট রুট করে বহু অনুপ্রবেশকারীই চলে আসছে এই পাড়ে। অবশ্য, সেই অবৈধ প্রবেশ রুখতে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তা সংসদে দাঁড়িয়েই স্পষ্ট করেছেন শাহ।
তিনি জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে মাঝে মধ্য়েই দেখি প্রশ্ন তোলা হয় সেনা ও বিএসএফ-এর দিকে। কিন্তু আজ দেশবাসীকে আমি সত্যিটা জানাব। ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমানা। তার মধ্যে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার কাঁটা তার বসানো হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে ৫৬৩ কিলোমিটার অঞ্চল। এর মধ্যে আবার ১১২ কিলোমিটার এলাকা হয়ে নদী-নালা বয়ে চলেছে। যেখানে কাঁটাতার বসানো অসম্ভব। বাকি ৪০০ কিলোমিটার ফেন্সিং সম্ভব।’
এরপরই বাংলার সরকারকে আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, ‘আমি বাংলার সরকারকে এই ৪০০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর জন্য দশবার ‘রিমাইন্ডার’ দিয়েছি। রাজ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে ৭ বার বৈঠক করেছি। কিন্তু তারপরেও তারা এখনও জমি দেয়নি। যেখানেই কাঁটাতার বসানোর ব্যবস্থা করা হয়, সেখানেই বাংলার শাসকগোষ্ঠীর লোকেরা গন্ডগোল পাকায়। স্লোগান দেয়।’
শাহের আরও অভিযোগ, ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি ওদের সরকারের অনেক দরদ। তাই এই বাকি পড়ে থাকা সীমানা এলাকায় কাঁটাতার বসাতে দিচ্ছে না। ২০২৬ সালে বিজেপি সে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এই বকেয়া কাজ শেষ করবে। অবশ্য তার আগেই এই ভাষণ শুনে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জায়গা ছেড়েও দেয়, তাও ১১২ কিলোমিটার এলাকা ফাঁকা থাকছে। একটা অনুপ্রবেশকারীর সীমানা পার করতে কতই বা জায়গা লাগে? অসমে যখন কংগ্রেস সরকার ছিল, তখন ওই এলাকা থেকে রোহিঙ্গা ঢুকত, এখন বাংলা হয়ে ঢুকছে।’





