Bad Cholesterol: কোলেস্টেরল চোখ রাঙাচ্ছে? এই নিয়মে তাকে বলুন ‘নো এন্ট্রি’
Bad Cholesterol: হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তাই সাবধান হওয়া জরুরি। উন্নত জীবনযাপনের জন্য কী কী পরিবর্তন করাটা প্রয়োজন? রইল সেই টিপস।

আজকাল ঘরে ঘরে থাবা বসাচ্ছে কোলেস্টেরল। সে বাড়ির প্রবীণ সদস্য হোক বা নবীন সদস্য। নবীনদের ক্ষেত্রে বিষয়টা একরকম, তবে সদস্য যদি প্রবীণ হন এবং তাঁর শরীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বা এলডিএল তাহলে কিন্তু আরও বেশি করে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। শুধু ওষুধ খেয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমালেই হবে না। বদল আনতে হবে কোলেস্টেরলের বৃদ্ধির কারণে। অর্থাৎ বদলে ফেলতে হবে জীবনযাপনের ধরন। হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তাই সাবধান হওয়া জরুরি। উন্নত জীবনযাপনের জন্য কী কী পরিবর্তন করাটা প্রয়োজন? রইল সেই টিপস।
সুষম ডায়েট – গোটা শস্য, প্রচুর পরিমাণ শাকসব্জি, ফল রাখতে হবে ডায়েটে। বিভিন্ন রকম ফল খাওয়া যেতে পারে। এতে ক্যালরি কম এবং পুষ্টিগুণ বেশি। ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি-র মতো খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তরমুজ, পেয়ারা, কিউই, আপেল, কমলা, কলা, পেঁপে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
ডিম খাওয়া যেতে পারে নিয়ম মেনে। সপ্তাহে তিন দিন গোটা ডিম খেতে পারেন। বাকি চার দিন শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশ খাবেন। প্রক্রিয়াজাত খাবার, কেক, কুকি, পেস্ট্রি, পনির, ঘি, মাখন, চিজ়, জ্যাম বাদ দিতে পারলেই ভাল। ক্রিমযুক্ত দুধ এবং তা থেকে তৈরি ঘি-মাখন যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
শরীরচর্চা – স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি রোজ শারীরচর্চা করা উচিত। বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ়, যোগব্যায়াম, হাঁটা ইত্যাদি কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খানিকটা সময় যোগাসন ও ধ্যানের জন্য বরাদ্দ রাখুন, এতে মানসিক চাপও কমবে।
পর্যাপ্ত ঘুম – এক জন ব্যক্তির রাতে কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম কোলেস্টেরলের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও কমায়। বয়স্কদের মধ্যে অনেকের দুপুরে ঘুমনোর অভ্যাস থাকে। তবে, খেয়ে উঠেই শুতে যাবেন না। কিছু ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে ঘুমোতে যাবেন।





