‘বিজেপি থেকে কিন্তু সাবধান’, নীতীশের ক্ষতে নুনের ছিটে অধীরের

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Dec 26, 2020 | 4:46 PM

বিহারে জেডিইউ-র সঙ্গে বিজেপির জোট থাকলেও অতিসম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা নীতীশ কুমারের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে বাধ্য। বৃহস্পতিবার অরুণাচলের ৭ জেডিইউ বিধায়ককে দলে শামিল করে নিয়েছে শাসকদল বিজেপি

বিজেপি থেকে কিন্তু সাবধান, নীতীশের ক্ষতে নুনের ছিটে অধীরের
'বিজেপি থেকে কিন্তু সাবধান', নীতীশের ক্ষতে নুনের ছিটে অধীরের

Follow Us

কলকাতা: তুমুল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ার মধ্যেও মাসখানেক আগেই বিজেপির (BJP) সঙ্গে জোট বেঁধে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে জেডিইউ। দলীয় সুপ্রিমো নীতীশ (Nitish Kumar) কুমার মুখে স্বীকার না করলেও, ভোটে তাঁর দলের ফলাফল মোটেই সন্তোষজনক হয়নি। বিজেপি ‘কথা রেখেছে’, মুখ্যমন্ত্রীর আসনেও তিনিই বসেছেন। কিন্তু বিজেপি যে সামান্য সুযোগ পেলেও তাঁকে কোণঠাসা করতে ছাড়বে না, সেটা সম্প্রতি বুঝতে পেরেছেন নীতীশ। আর এই ‘দুর্বল’ জায়গাতেই এদিন খোঁচা মেরেছেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। টুইট করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে বিজেপি থেকে সাবধান হতে বলেছেন।

কিন্তু যার সঙ্গে জোট করে রাজ্যে সরকার চলছে, তার থেকেই গা বাঁচিয়ে চলা কতদূর সম্ভব! সেই উত্তর অধীর নিজের টুইটে দেননি ঠিকই। তবে কী কারণে সাবধান থাকতে বলা সেই ব্যাখ্যা অবশ্যই দিয়েছেন।

পরপর তিনটি টুইটে অধীর লেখেন, “প্রিয় নীতীশজী, বিজেপির থেকে সাবধান থাকুন। ওরা কিন্তু উত্তর-পূর্বের কুখ্যাত বন্যপ্রাণ শিকারীদের মতো হস্তগত করার প্রক্রিয়ায় পারদর্শী এবং সিদ্ধহস্ত। বিজেপি একচেটিয়া রাজনৈতিক আত্মনির্ভরতায় বিশ্বাসী। কেবল বিজেপির নির্মাণ এবং সকল অবিজেপিদের ধ্বংস করাই গেরুয়া ব্রিগেডের একমাত্র উদ্দেশ্য। অরুণাচল প্রদেশে এখন আপনার যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার আগে বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। যাতে বিহারে আপনি অরুণাচল সিনড্রোমের প্রতিষেধক তৈরি রাখতে পারেন।”

ঘটনা হচ্ছে, বিহারে জেডিইউ-র সঙ্গে বিজেপির জোট থাকলেও অতিসম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা নীতীশ কুমারের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে বাধ্য। বৃহস্পতিবার অরুণাচলের ৭ জেডিইউ বিধায়ককে দলে শামিল করে নিয়েছে শাসকদল বিজেপি। বিহারে জোটে থাকা সত্ত্বেও বিজেপির এই কাজে স্তম্ভিত নীতীশও। এমন একটা ‘স্পর্শকাতর’ সময়ে লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা টুইট করে সরাসরি বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁকে। একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, “বিজেপির এই আগ্রাসনের পিপাসা নিবারণ করা সম্ভব নয়।” যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আরও পড়ুন: ‘লভ জিহাদ’, জোর করে ধর্মান্তকরণে দশ বছর পর্যন্ত জেল, আইন আনছে মধ্য প্রদেশ

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অধীর মূলত নীতীশের পাশে থাকার বার্তা দিতে চেয়েছেন। এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জেডিইউ-র আপত রাজনৈতিক সম্পর্ক বিপরীত মুখী হলেও বিজেপিকে ঠেকাতে সমঝোতার পথও খোলা রেখেছেন। সব শেষে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবার কোনও পদক্ষেপ করেন, নাকি ‘ক্ষমতার স্বার্থে’ সবকিছুই মুখ বুজে সহ্য করেন সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন: গণতন্ত্র না শিখিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন দেখুন! রাহুলকে পাল্টা কটাক্ষ মোদীর

Next Article