কলকাতা: ‘বঙ্গভঙ্গের’ দাবিতে ক্রমশ সুর চড়ছে এ রাজ্যের বিজেপি নেতাদের। সবার প্রথম পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি জানিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। সোমবার জঙ্গলমহলকে ভেঙে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি জানান বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিজেপি যদিও মুখে বলছে যে তারা বাংলার মানচিত্রে কোনও বদল আনার পক্ষে নয়। তা সত্ত্বেও গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতারা দলীয় অবস্থানের পরিপন্থী একের পর এক মন্তব্য করে চলেছেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির মন আর মুখ কি এক নয়? গোটা বিতর্কের মাঝেই এ বার বিজেপিকে নিশানায় নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
বহরমপুরের সাংসদ সাফ জানিয়েছেন, বাংলায় হার হজম করতে না পেরেই এখন রাজ্যকে ভাঙার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। সোমবার তিনি বলেন, “বাংলায় এই পরাজয় বিজেপি কোনও ভাবেই হজম করতে পারছে না। সেই কারণে নতুন নতুন তত্ত্ব তুলে এনে বাংলায় একটা সংকীর্ণ, অস্বস্তিকর এবং অশান্তিকর একটা রাজনীতির জন্ম দিতে চাইছে। বিজেপি কোনও দিন আবার এটাও বলবে, কলকাতাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেব। যদি কাশ্মীরকে পারে তো কলকাতাকেও করতে পারে।”
আরও পড়ুন: ‘কোনও তৃতীয় বা চতুর্থ ফ্রন্ট বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে পারবে না’, অকপট প্রশান্ত কিশোর
যদিও এ দিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবারও স্পষ্ট করেছেন, পৃথক বঙ্গবঙ্গের দাবি জন বার্লার ব্যক্তিগত। বিজেপি এমন কোনও মত পোষণ করে না। যদিও বার্লা যে ক্ষোভের থেকে এই দাবি জানিয়েছেন, তা সমর্থন করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। দিলীপের মনে হয়েছে, জন বার্লার ক্ষোভ ন্যায়সঙ্গত। তাঁর কথায়, “কারোর কোনও বিষয়ে ব্যক্তিগত মত থাকতেই পারে। গণতান্ত্রিক দেশ, আমাদের দলেও গণতন্ত্র আছে। তিনি নিজেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি কতটা কষ্টের সঙ্গে বলেছেন। সরকারের অত্যাচারে হতাশা থেকে বলছেন। দল এই মন্তব্যকে সমর্থন করে না।”
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ফিরে পেতে হাইকোর্টে হাজির শুভেন্দু, কী বলল আদালত?