Adhir slams Mamata: ‘রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতক’, ফের অধীরের নিশানায় মমতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Oct 30, 2021 | 6:41 PM

Adhir Ranjan Chowdhury: নীতিন গড়করি, রাজনাথ সিং, মোহন ভাগবত নিয়ে দিদি কিছু বলেছেন কোনওদিন? মমতার আমলেই আরএসএসের শাখা বেড়েছে। ভবানীপুর আর নাগপুরের ট্রেন চলেছে। আক্রমণ অধীরের।

Adhir slams Mamata: রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতক, ফের অধীরের নিশানায় মমতা
ফের অধীরের নিশানায় তৃণমূল। ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা : কিছুদিন আগেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাতের কথা বলে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আজ ফের একবার অধীরের নিশানায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোকে রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করতেও ছাড়লেন না অধীর।

গোয়া সফরে মমতা ফের একবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাজনৈতিকভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে শক্তির প্রয়োজন, তা কংগ্রেসের নেই। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র তৃণমূলেরই রয়েছে, সেই বার্তাও দিয়েছেন মমতা। আর এরই মধ্যে আজ বিকেলে ফের একবার অধীরের নিশানায় মমতা।

তৃণমূল নেত্রীকে সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘নিজের পরিচয় দিতে লজ্জা করে না? আপনি দালালি করছেন। আপনি বিজেপির দালাল। আপনি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। একবারও ভুল স্বীকার করেছেন?’

তৃণমূলের সঙ্গে আরএসএসের গোপন আঁতাত রয়েছে বলেও দাবি করেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, ‘মমতার সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্ক আছে। নীতিন গড়করি, রাজনাথ সিং, মোহন ভাগবত নিয়ে দিদি কিছু বলেছেন কোনওদিন? মমতার আমলেই আরএসএসের শাখা বেড়েছে। ভবানীপুর আর নাগপুরের ট্রেন চলেছে।’

একইসঙ্গে মমতাকে রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতক বলেও আক্রমণ শানান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বলেন, ‘অতীতকে স্বীকার না করলে ভবিষ্যত গড়তে পারে না। আপনি রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতক। কংগ্রেসের দিকে আঙ্গুল তোলার আগে আয়নায় দেখুন। যাঁরা ঋণ স্বীকার করে না। তাঁরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হতে পারে না। রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস দুর্বল হলে তা আমরা বুঝব। ওনার দলের লোকেরা বিজেপিতে যোগ দেয়নি?’

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মমতার গোয়া সফরকেও কটাক্ষ করেছিলেন অধীর বাবু। বলেছিলেন, “গোয়াতে মোট ১৪ লক্ষ ভোটার। তাঁদের মধ্যে কতজন চেনে তৃণমূল কংগ্রসকে? ওদের তো কোনও সংগঠন নেই। গোয়াতে তৃণমূলের জায়গা করতে গেলে আগে তো তৃণমূলকে কংগ্রেসের সঙ্গে  কথা বলতে হবে। ওখানে তৃণমূলকে কেউ চেনে না। আর নেতা-এমএলএদের কেনা এসব তো গোয়াতে কেনা যায়। মাল নিয়ে যান, গেলেই কিনতে পারবেন। দিদি ওখানে এত এত মাল নিয়ে যাচ্ছেন, বাংলা লুট করে টাকা ঢালছেন, সেই টাকায় নেতাদের কিনছেন। কিনুন। তাতে বিজেপিকে হঠানো যায় না।”

এর আগেও মমতাকে বিজেপির দালাল বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন , “মোদী আর মমতার মধ্য়ে আগেই চুক্তি হয়ে গিয়েছে। সেই চু্ক্তিতে বলা হয়েছে বাংলাটা মমতার আর দিল্লিটা নরেন্দ্র মোদীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ম্যাডাম সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন। কিন্তু, গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডির সমন পাঠানোর পরেই সুর বদলে গেল। অভিষেক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বলতে শুরু করলেন। কারণ, বিজেপির হুমকি। আর মোদী জানেন বিরোধীরা একজোট হলে বিজেপির ক্ষমতায় থাকা মুশকিল। নিজের দলের চোর-ডাকাতকে বাঁচাতে মমতাও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বলছেন। বিজেপি সেটাই চায়। সেইজন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সবচেয়ে বড় দালাল।”

আরও পড়ুন : TMC Tripura: আগরতলায় রবীন্দ্র ভবনের সামনে মোতায়েন বিশাল পুলিশ, সভামঞ্চ আগলে রাখতে মরিয়া তৃণমূল

Next Article