AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Group D: SSC ও SLST-র পর এবার চাকরির দাবিতে আন্দোলনে গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা

Group D: গ্রুপ ডি-র চাকরির বিজ্ঞপ্তি বের হওয়ার পর চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় ২৫ লক্ষ চাকরি প্রার্থী। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসেন ১৯ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী।

Group D: SSC ও SLST-র পর এবার চাকরির দাবিতে আন্দোলনে গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2022 | 6:18 PM
Share

কলকাতা: এসএসি-এসএলএসটি-র (SSC-SLST) পর এবার আন্দোলনে গ্রুপ ডি-র (Group D) চাকরিপ্রার্থীরা। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে শুরু হয়েছে ধরনা। চাকরি প্রার্থীদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের আসল সংখ্যা কত যা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, আসল তথ্য জানতে চেয়ে বোর্ডের কাছে আবেদন করেও মেলেনি কোনও সদুত্তর মেলেনি। আর সে কারণেই বাধ্য হয়ে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সরকার দ্রুত চাকরি না দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। যা নিয়েই প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।  

আরটিআইয়ের কোনও সদুত্তর দেয়নি বোর্ড, অভিযোগ আন্দোলনকারীদের

এদিকে সূত্রের খবর, গ্রুপ ডি-র চাকরির বিজ্ঞপ্তি বের হওয়ার পর চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় ২৫ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসেন ১৯ লক্ষ চাকরি প্রার্থী। পরীক্ষা নেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। এর মধ্যে ১৮ হাজার প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। তাঁর মধ্য়ে ৫ হাজার ৪০০ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এদিকে বর্তমান আন্দোলন প্রসঙ্গে ধরনা মঞ্চ থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনকারী কিংশুর চৌধুরী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বলেছিলেন ৫ বছরে ৬০ হাজার নিয়োগ করব। ৬০ হাজারের মধ্য়ে প্রথম ধাপে আমাদের ৬ হাজারের বিজ্ঞপ্তি বের হয়। যে ৬ হাজারের মধ্যে ৫ হাজার ৪০০ জনের নিয়োগ হয়। বাকিদের ওয়েটিং লিস্টে পাঠানো হয়। আমরা এ বিষয়ে বিশদে জানতে চেয়ে আরটিআই করেছি। কিন্তু, আরটিআইয়ের কোনও সদুত্তর বোর্ড তিন বছর ধরে দেয়নি। দুর্নীতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছে গ্রুপ-ডি র ওয়েটিং লিস্টের চাকরিপ্রার্থীরা। 

“যতদিন না আমাদের চাকরি দিচ্ছে আমরা অবস্থান চালিয়ে যাব”

এখানেই না থেমে কিংশুক আরও বলেন, “আমরা লেখা পরীক্ষায় পাশ করেছি। কিন্তু, ওয়েটিং লিস্টে কতজন আছি এটাই আমরা ঠিক করে জানিনা। অস্বচ্ছ ভাবে গোপনে রিক্রুটমেন্ট হচ্ছে। তবে বিগত দিনে সবথেকে বড় পরীক্ষা নিয়েছে য়েস্ট বেঙ্গল গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। ২৫ লক্ষ চাকরি প্রার্থী পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে ১৯ লক্ষ চাকরি প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন।  এর মধ্যে ১৮ হাজার প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। তাঁর মধ্য়ে ৫ হাজার ৪০০ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। আমরা বারবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছি, বোর্ডে গিয়েছি, কলকাতার বুকে বারবার মিছিল করেছি। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে আজও এর কোনও সুরাহা হয়নি। যতদিন না আমাদের চাকরি দিচ্ছে আমরা আমাদের অবস্থান চালিয়ে যাব। তাতে যদি আমাদের মৃত্যু হয় হবে। তবে আমাদের কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নেই। আমাদের একটাই পরিচয়, আমরা শিক্ষিত বেকার।”