কলকাতা: একদিকে যখন নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার তোপ দাগছে বিজেপি তথা বিরোধীরা। অন্যদিকে তখন এইমসে নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। বিজেপিরই একাংশের অভিযোগে বিষয়টি সামনে আসে। এবার সেই ঘটনায় বিধায়কের পুত্রবধূকে তলব করল সিআইডি। চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ অনসূয়া ঘোষকে দ্বিতীয়বার নোটিস দেওয়া হল সিআইডির তরফে।
অনসূয়া ঘোষকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে বিধায়কের বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম নোটিসে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। ১০ দিন সময় চেয়ে নেন সিআইডির কাছে। এবার ফের নোটিস দেওয়া হল। আগামী বুধবার তাঁর বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের বিরুদ্ধে কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তাঁর মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। তাঁর মেয়েকেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার তলব করা হয়েছে তাঁকে।
বিজেপি’র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় গত মে মাসে এই অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি ই-মেল পাঠিয়েছিলেন। সেখানেই ছিল চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ও বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার নাম। পরে মুর্শিবাদের এক বাসিন্দা কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নামও ছিল সেই এফআইআরের তালিকায়।
অভিযোগ, যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই রাজনৈতিক অপচেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কল্যাণী থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তদন্তও শুরু করেছে সিআইডি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসএসসি-সহ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারীর নাম জড়িয়েছে। মন্ত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। এবার নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।